সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সোমবার বিকেলে রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার উপর বেলিয়া গ্রামের কাছে বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল মোটরভ্যান চালকের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম বাইক চালককে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধের পাশাপাশি রাস্তার ধারের নির্মীয়মাণ প্রজেক্টের এক সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে উত্তেজিত এলাকার মানুষ। পরে রামপুরহাট থানার প্রচুর পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিস জানিয়েছে, মৃত ভ্যানচালকের নাম হারাধন লেট (২৫)। বাড়ি রামপুরহাট থানার বেলিয়া গ্রামে। এদিন তিনি তারাপীঠের দিক থেকে ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্যদিকে এক যুবক বাইক চালিয়ে তারাপীঠের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলিয়া গ্রামের কাছে ভ্যান ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যানচালকের। দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন বছর ৩০-এর অজ্ঞাতপরিচয় বাইক চালক। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেলিয়া গ্রামের লোকজন এসে যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন। ফলে, বহু পুণ্যার্থীবোঝাই যানবাহন ও রুটের বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচল করে। পুলিসের কোনও নজরদারি নেই। অবিলম্বে যান নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক পুলিস মোতায়েন করতে হবে। এদিন খবর পেয়ে অবরোধ তুলতে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিস। যার জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিসের সামনেই দুর্ঘটনাস্থলের কাছে রাস্তার ধারে একটি নির্মীয়মাণ প্রজেক্টের সিকিউরিটি গার্ডকে মারতে শুরু করেন অবরোধকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁর চোখের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। পরে আরও পুলিসবাহিনী এসে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে যান নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।