বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে জোর দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই বিধানসভায় ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। এদিন অঞ্চল সভাপতিদের কাছে সেই হারের কারণ জানতে চান অনুব্রতবাবু। নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি মিলন শেখ বলেন, এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু, মোদির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির প্রভাব আমরা বুঝতে পারিনি। তবে এখন সেই হাওয়া নেই। একই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিজের গ্রাম কুসুম্বা অঞ্চল সভাপতি রামপ্রসাদ সাহা। হারের কারণ হিসেবে রামপ্রসাদ বলেন, সিপিএমের ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছে। দলের কারও কোনও ভুল নেই। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে দলের পিছিয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হারের কারণ হিসেবে কাষ্ঠগড়া অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ভোটারদের কাছে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা বলেন এটা মোদির ভোট। দিদির ভোটের সময় আপনাদের ভোট দেব। অন্যদিকে, আয়াস অঞ্চলের ৫৩নম্বর বুথের সভাপতি মহাদেব পাণ্ডে মোদি হাওয়াকে দায়ী করেছেন। অনুব্রতবাবু এই অঞ্চলে ফাইভ ম্যান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। অপরদিকে মহম্মদবাজারের ভাড়কাঁটা অঞ্চল সভাপতি খগেন রাজবংশী হারের কারণ হিসেবে এলাকার অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। সোঁতশাল থেকে ধোলডাঙা ও রাইপুর থেকে ধোলডাঙা রাস্তা পাকা করার প্রয়োজন রয়েছে। কেন হয়নি তা উপস্থিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর কাছে জানতে চান। রাস্তার অনুন্নয়ন নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অনুব্রতবাবু বলেন, ঢালাই রাস্তা হয়ে যাবে। কিন্তু, বিধানসভা ভোটে লিড দিতে হবে। এদিন মঞ্চে পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারিকে অনুব্রতবাবু বলেন, তুই তো নিজের ছাড়া বুঝিস না। ব্যবসা করবি, চেয়ারম্যান থাকবি, ডিএম মিটিং ডাকলে যাবি না। তুই এমন কী হনু রে, লাটসাহেব আছিস! আর কোনওদিন চেয়ারম্যান হওয়ার নাম নিবি না। তোকে টিকিট না দিতেও পারি। যদিও সম্মেলন শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসবই ইয়ার্কি বলে জানান অনুব্রতবাবু। এদিনও এনআরসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। পাশাপাশি মোদির প্রভাব বিস্তারের কথা মানতে চাননি দাপুটে এই তৃণমূল নেতা।