বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন এবং বর্ধমান জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের ‘রাইস প্রো টেক এক্সপো’ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, পূর্ব বর্ধমানের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বর্ধমান জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য খোকন দাস সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ৪৮ লক্ষ কৃষককে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা দিয়েছে। একর প্রতি একজন কৃষক প্রতি বছর পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। প্রসঙ্গত, দূষণের কারণে একটি রাইসমিলকে বন্ধ করা হয়েছে। সে ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, সব রাইস মিলকে দূষণ বিধি মেনে চলতে হবে। মিল থেকে যে জল বাইরে বের হয় তা পরিস্রুত করে ফেলতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন কিনতে হবে। রাজ্য সব রাইস মিলের পাশে আছে। কোনও রাইস মিল বন্ধ করে রাখা চলবে না। অনেক রাইস মিল ধান নিয়ে আমাদের চাল দিতে পারেনি। তারা ডিফল্টার হয়েছে। কিন্তু, আমরা তাদের নামে এফআইআর এখনও করিনি। আমরা আশাবাদী, তাদের যে চাল দেওয়ার কথা ছিল তা দিয়ে দেবে। তিনি বলেন, এবার আমাদের রাজ্যের উদ্বৃত্ত চাল আমরা ভিন রাজ্যে পাঠাব।
রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের কিছু দাবি রয়েছে যার সঙ্গে কেন্দ্র যুক্ত। ওই ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমরা সেগুলি সমাধান করতে পারব না। আপনারা দিল্লিতে গিয়ে প্রয়োজনে আন্দোলন করুন। সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা যান। ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল রেশন কার্ডে নাম তোলার দিন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এফসিআইয়ের কাছ থেকে এখনও ৮৩৪ কোটি টাকা পাব। কিন্তু, বারবার চিঠি দিয়েও সেই টাকা পাচ্ছি না। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে গাছ কাটা এবং পুকুর ভরাট নিয়েও সচেতন করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা গাছ কেটে ফেলছি। পুকুর ভরিয়ে ফেলছি। খালবিলও ভরিয়ে দিচ্ছি। এর ফলে, বিপদ আসন্ন। এসব করা চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও পুকুর ভরাট হয়ে থাকলে আগের অবস্থায় তাকে আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনারা সকলে এটা মেনে চলবেন। পরিবেশের কথা ভেবে সকলকে এটা করতে হবে।