গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী শহরের একাধিক জায়গায় সভা করেন। তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ করে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বলা যায়, শেষ বেলায় প্রচারে ঝড় তোলেন মিমি। তিনি তাঁর বক্তব্যে কাজের নিরিখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর দাবি প্রার্থী তথা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার অনেক কাজ করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে, প্রদীপ সরকারকে ভোট দিতে হবে এমন কোনও কথা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে হবে। কারণ তিনিই আপনাদের পাশে দাঁড়াবেন, এগিয়ে নিয়ে যাবেন, হাত ধরবেন। এদিন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শিশির অধিকারীও দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একাধিক সভা করেন।
এদিকে দিলীপবাবু এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা ও সভা করেন। দলের সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও এদিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন। দেবাশিস চৌধুরী, তুষার চৌধুরী সহ তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলার অবশ্য দিলীপবাবুর এই দাবি মানতে নারাজ। দিলীপবাবুর এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে দলের কয়েকজন কাউন্সিলার ও নেতাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে তৃণমূল। তার উপর দিলীপবাবুর এমন দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা দিলীপবাবুর এই দাবিকে আমল দিচ্ছে না।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, দিলীপবাবু দিবাস্বপ্ন দেখছেন। প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করায় ওদের দল থেকে প্রতিদিন আমাদের দলে লোক আসছেন। ওদের দু’জন কাউন্সিলার গোপনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আমাদের হয়ে কাজ করছেন। দিলীপবাবু আগে নিজের দল সামলান। বিজেপি কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা অবশ্য তৃণমূল সভাপতির এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে এদিন বাম ও কংগ্রেস প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবি জানান। প্রতিনিধি দলে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তাপস সিনহা, সিপিআইয়ের জেলা সহ সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট ছিলেন। তাপসবাবু বলেন, আমরা প্রতিটি বুথকে উত্তেজনাপূর্ণ চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি। ভোটারদের ভোটদান সুনিশ্চিত করা ও শাসক দলের প্রার্থী যে হারে খরচ করছেন তাও আমরা কমিশনকে দেখতে বলেছি।
এই প্রশ্নে দিলীপবাবু বলেন, আমরাও প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ বুথের বাইরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবি জানিয়েছি। আমরা ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছি। পাঁচ কোম্পানি এসে গিয়েছে। শুনেছি আরও ১০ কোম্পানি আসবে। আমরা কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। দিলীপবাবু বলেন, ভোটের দিন যদি কেউ অশান্তি করে, তার কী ওষুধ তা আমাদের জানা আছে। এমনকী তাঁর নামে নানা রকম মিথ্যা প্রচারপত্র ছাপিয়ে বিলি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমাকে ওরা ভয় পেয়েছে বলেই এসব করছে।