রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বুধবার সাগরদিঘিতে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে বাহালনগর গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গিদের গুলিতে জখম এবং নিহতদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস তিনি দিয়ে এসেছিলেন। এছাড়া জখমের চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো এদিন জেলার দুই শীর্ষকর্তা গ্রামে গিয়ে চেক তুলে দেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরদিঘির যুবকরা যাতে নিজেদের এলাকাতেই কাজ পান, তারজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপেল চাষেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপেল বাগানে কাজ করে যুবকরা আয় করতে পারবেন বলে আধিকারিকদের দাবি। মুখ্যমন্ত্রী এভাবে গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোয় খুশি বাহালনগরের বাসিন্দা।
জঙ্গিদের গুলিতে জখম জাহিরুলের স্ত্রী পারমিতা বিবি বলেন, রাজ্য সরকার পাশে না থাকলে স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারতাম না। সরকার শ্রীনগর থেকে নিয়ে এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ওর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। ও এখনও ভালোভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না। বেশির ভাগ সময় শুয়ে থাকে। আরও ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকা খরচ করে ওর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পারব। দিদির প্রতি আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। গ্রামের বাসিন্দা আহাদ সরকার বলেন, দিদি জখম এবং নিহতদের পরিবারকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সরকার পাশে না থাকলে পরিবারগুলি ভেসে যেতে। আর্থিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রত্যেককে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এতদিন সবার মাটির বাড়ি ছিল। এবার পাকা বাড়ি হবে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে আপেলবাগানে কাজ করতে যাওয়া বাহালনগরের ছ’জনকে জঙ্গিরা গুলি করে খুন করে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরেই পরিবারগুলিকে সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গ্রামবাসীরা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি দল গ্রামে আসেনি। তাদের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম দিন থেকে বাহালনগরের পাশে দাঁড়িয়েছে।