বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
অমিত নিজে কয়েক বছর ধরে তাঁত বোনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এটা তাঁদের পারিবারিক পেশা। তাঁদের বাড়িতেই রয়েছে তাঁত। সেখানেই শাড়ি তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করা হয়। অমিত এর আগেও বহু দামি শাড়ি নিজের হাতে বুনেছেন। তবে এবার তাঁর শাড়িতে নতুনত্ব রয়েছে।
পাবজি শাড়ি প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, শাড়ির উপর প্রথমে নকশা এঁকে তারপর ধীরে ধীরে হ্যান্ডলুমের মাধ্যমে সেই শাড়িকে বোনা হয়েছে। সম্পূর্ণ শাড়িতে সুতোর কাজ করা হয়েছে। পাবজি গেমের নকশা করা শাড়ি তৈরির বিষয় নিয়ে শিল্পী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়াতে এর আগে যখন রেশমের শাড়ি নিয়ে প্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম সেখানকার এক উদ্যোক্তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি আমাকে বলেন শাড়িতে নতুনত্ব যদি কিছু তৈরি করতে পার তবে প্রদর্শনীতে আলাদা গুরুত্ব পাওয়া যাবে। এরপর ওনার সঙ্গে ডিজাইনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখনই পাবজি গেমের থিমের বিষয়টি ডিজাইনে তুলে ধরা নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর এই শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করি। বেশ কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় এই শাড়ি তৈরি করেছি। আশা করছি এই শাড়ি বহু মানুষের নজর কাড়বে।
বাংলার জনপ্রিয় তাঁতশিল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম শান্তিপুর ও ফুলিয়া। ক্রেতাদের মন মাতাতে নতুনত্ব শাড়ি তৈরি করতে সব সময় প্রস্তুত এখানকার শিল্পীরা। প্রতিবছরই তৈরি হয় নিত্য নতুন শাড়ি। এখানে প্রায় ৫০০জন পুরনো শাড়ি ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের হাতে বোনা শাড়ি বাংলা সহ গোটা ভারতবর্ষের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। শাড়ি তৈরির পাশাপাশি এখানে সুতির গামছা, ওড়না, পাঞ্জাবি, পর্দার কাপড়ও তৈরি হয়। বাংলার হস্তচালিত তাঁত বা হ্যান্ডলুম শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। হ্যান্ডলুমে যেখানে একদিনে একটা শাড়ি তৈরি করা যায়, সেখানে পাওয়ার লুমে তৈরি হচ্ছে চারটি শাড়ি। বহু বছর ধরে তাঁত শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই ফুলিয়া শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ির সুনাম অর্জিত হয়েছে। তাই এখানকার তাঁতশিল্পীরা তাদের অর্জিত সম্মান ধরে রাখতে পাবজি শাড়ির মতো একের পর এক নতুন শাড়ি তৈরি করে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন।