বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন। তিনি বলেন, যেটা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ না হলেও মহকুমা শাসককে বলেছি ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে। রিপোর্ট দেখে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক নিরুপম সিংহ বলেন, ওই ঘটনায় স্কুলে গিয়ে তদন্ত করা হবে।
ওই স্কুলে বার অনুযায়ী পোশাকবিধি রয়েছে। অভিযোগ, সোমবার স্কুলে আসার পর অনেকেরই পোশাকে সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে স্কুলের প্রিন্সিপালের নির্দেশে তাদের সেই পোশাক খুলে ফেলা হয়। বেশকিছু ছাত্রীর লেগিংসও খুলে নেওয়া হয়। সোমবার দিনভর পড়ুয়ারা সেই অবস্থাতেই ক্লাস করতে থাকে। একথা জানতে পেরে অভিভাবকরা থানায় যান। পুলিস স্কুল কর্তৃপক্ষকেও থানায় ডেকে পাঠায়। অভিভাবকদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনকার মতো বিষয়টি থিতিয়ে গেলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকদের একাংশ। তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে আসে শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। অভিভাবকরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর প্রিন্সিপাল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে মিটমাটের কথা বলেন। যদিও এবিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। অভিভাবকরা জানান, বুধবার তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অন্যদিকে, স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার অর্চনা ফার্নান্ডেজ বলেন, বিষয়টি যতটা রটেছে ততখানি ঠিক নয়। কোনও পড়ুয়ার পোশাক খোলা হয়নি, এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। আমরা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। অভিভাবক রাজেশ শর্মা, মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, পোশাক পরে আসার নয়া নিয়ম নিয়ে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। ভুলবশত কোনও পড়ুয়া পরে এলে কেন এধরনের আচরণ করা হয়েছে। আগের প্রিন্সিপালের সময় এধরনের সমস্যা হতো না। আমরা এই প্রিন্সিপালের অপসারণ চাইছি।- নিজস্ব চিত্র