বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পৌষমেলায় আবর্জনা ও দূষণ নিয়ে একাধিক চর্চা হয়েছে। তাই মেলার মাঠ পরিষ্কার করতে বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেবে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পৌষমেলা প্লাস্টিক মুক্ত রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য মেলা পরিচালনা করতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স রুমে এদিন ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ সেখানকার আধিকারিকরা ছিলেন। অন্যদিকে, বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রশান্ত অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিস সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র, বোলপুরের মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী, এসডিপিও অভিষেক রায় প্রমুখ ছিলেন। তাছাড়া দমকল, স্বাস্থ্য প্রভৃতি দপ্তরের কর্তারাও ছিলেন।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ২৪-২৭ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌষমেলা চলবে। এবারের মেলায় ১৫৩৫টি স্টল করা হবে। তবে, সেসব স্টল বণ্টন হবে অনলাইনে। খড়্গপুর আইআইটির তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সফ্টওয়্যার দেওয়া হবে। আগামী ১ডিসেম্বর থেকে সেই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে স্টল বুকিং শুরু হয়ে যাবে। ওই প্রক্রিয়া ২০ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে যাঁরা প্রথমে আবেদন করবেন তাঁরাই স্টল পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। মাঠে এবার দু’টি স্টলের মাঝে অবৈধভাবে কেউ বসতে পারবে না। সেই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, স্টল নেওয়ার জন্য আগাম টাকা জমা দিতে হবে। মেলা শেষের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেইসব স্টল তুলে নিতে হবে। অন্যদিকে, এবার মেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ১০০টি শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পার্কিং জোনেও শৌচাগার করা হচ্ছে।
বিশ্বভারতী সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মেলার দিনগুলিতে ওই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেজন্য পুলিসের তরফে মেলার আগে থেকেই রাস্তা সংক্রান্ত সচেতনতা আনতে লিফলেট, ফ্লেক্স দিয়ে প্রচার করা হবে। পর্যাপ্ত পার্কিং জোনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়া নজরদারির জন্য এবার সিসি ক্যামেরার পরিমাণ বাড়ানো হবে। থাকবে ওয়াচ টাওয়ারও। এমনকী, মেলার ব্যস্ত সময়ে ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হবে।
জেলাশাসক বলেন, পৌষমেলা আয়োজন নিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মেলায় স্টল বুকিং নিয়ে এবার বিশ্বভারতী অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আসছে। তাছাড়া যারা মাটিতে বসে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পানীয় জল, পার্কিং জোন, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে।
এবারের পৌষমেলা সুচারুভাবে করতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা মেলা চলাকালীন প্রতিফলিত হয় কি না সেটাই দেখার। এমনই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।