বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়াল বলেন, পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই কলাম তুলে নির্মাণের কাজ হচ্ছিল। তাই নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে অনুমতি না নেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, শহরজুড়ে প্রতিদিন কত অনিয়ম হচ্ছে, পুরসভা তা দেখতে পায় না। অথচ আমরা টিনের শেড দিয়ে একটি দলীয় কার্যালয় তৈরি করায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত আমি পুরসভার তরফে কোনও নোটিস হাতে পাইনি। বিবেকানন্দবাবুর দাবি, শহরের আনাচে কানাচে বহু জায়গাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলির সমস্ত অনুমোদন আছে তো? আমরাও কিন্তু এবার ওইসব নির্মাণের কাগজ দেখব।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগঞ্জ এলাকায় বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। কিছুদিন আগেই ওই কার্যালয়টি ভেঙে ভিত কেটে কলাম তুলে নির্মাণের কাজ চলছিল। তা নিয়ে গত সপ্তাহে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন পুরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুরসভার চেয়ারম্যান ১৩ নভেম্বর বিজেপির জেলা সভাপতি ও সম্পাদককে কাজ বন্ধ করে যে জায়গায় নির্মাণ কাজ হচ্ছে তার কাগজপত্র ও পুরসভার অনুমতির কাগজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, পুরসভার সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করেই নির্মাণের কাজ চলছিল। এদিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলার তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়ালের নজরে এলে তিনি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপরেই দুপুরে পুরদপ্তরের কর্মীরা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে নির্মাণের পাশে কাজ বন্ধ রাখার নোটিস সেঁটে দিয়ে আসে। পাশাপাশি যাঁরা নির্মাণের কাজ করছিলেন তাঁদেরও নোটিসের একটি কপি দিয়ে আসে। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা গায়ের জোরে দলীয় কার্যালয় তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।