বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী এএনএম নার্সিং কোর্সের প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত অক্টোবর মাসেই ক্লাস শুরু হয়েছে। তিনি হস্টেলের যে রুমে থাকতেন, সেখানে আরও তিনজন সহপাঠী থাকতেন। এদিন সকালে সহপাঠীরা ক্লাসে চলে যান। কিন্তু, রিয়া যাননি। একটু পরে যাব বলে তিনি বসেছিলেন। তিনি ক্লাসে না যাওয়ায় সকাল ১১টা নাগাদ দু’জন সহপাঠী তাঁকে ডাকতে আসেন। এসে দেখেন, হস্টেলে তাঁর রুমে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে তাঁরা ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি। তারপরই তাঁরা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। হইচই দেখে স্থানীয় যুবকরাও হস্টেলে আসেন। তাঁরাই রুমের দরজা ভেঙে দেখেন, সিলিং ফ্যানে ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিসও ঘটনাস্থলে যান। তারপর তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তাঁর রুম থেকেই পুলিস একটি ডায়েরি উদ্ধার করে। তার একটি পাতায় সুসাইড নোট লেখা ছিল।
ওই সুইসাইডে নোটের মাঝখানে ওই ছাত্রী লিখেছেন, ....‘ভেবেছিলাম ১ দিন নার্স হয়ে পরিবারের সব মানুষদের সেবা করব। সেটা আর হলো না। সেটা হবেও না। আর আমি এভাবে বাঁচতে পারব না। কেন যে সেদিন আমার ডিসিসন চেঞ্জ হল। আমি একদিকে ভূগোল অনার্স ছেড়েছি, আবার প্রথমে চান্স পাইনি। অনেক পরে কল আসে। তখন এখানে ভর্তি হয়ে যাই। এটাই আমার জীবনের কাল হয়। কারণ, আমি পড়ছিলাম বায়ো সায়েন্স-এ, তারপর আবার এএনএম। অন্য কোথাও ভর্তি হলে ঠিক ছিল। এইখানে কিছুই কোনও সেটআপই ছিল না। যেটাকে আমি মেনে নিতে পারিনি। আর সরকার এসসি, এসটি, ওবিসি-কে সব সুযোগ দিচ্ছে। অথচ, এই জেনারেলগুলি মরছি। তাই আজ এই ডিসিশন। আর রুমে এই আমি সবাইকার ন্যাকাপনা মানতে পারছিলাম না’।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়াদের পরিবার সভ্রান্ত কৃষক পরিবার। দুই বোনের তিনি বড়। তাঁর বোন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সুইসাইড নোটের প্রথম লাইনেই তিনি বোনের কথা লিখেছেন, ‘ভগবান তুমি আমার বোনকে ভালো রেখো’। এক পুলিস অফিসার বলেন, ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোট দেখে এটা পরিষ্কার তিনি পড়াশোনা নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই এই ঘটনা।