পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলাজুড়ে বিধানসভা ভিত্তিক বুথ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সোমবার সেই সম্মেলনের চতুর্থ দিন ছিল। প্রত্যেক সম্মেলনেই জেলা সভাপতি প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যে বুথস্তরে লোকসভা ভোটে হারের কারণ পর্যালোচনা চলছে। এদিন সিউড়ি বিধানসভার বুথ ভিত্তিক সম্মেলন হয় রবীন্দ্র পল্লির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, মলয় মুখোপাধ্যায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।
এদিনের সম্মেলনে রাজনগর, দুবরাজপুরের কয়েকটি অঞ্চল, সিউড়ি-১ ব্লক ও শহরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ছিলেন। অনুব্রতবাবু প্রথমে রাজনগর ব্লকের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেন। সেখানে তাঁতিপাড়া অঞ্চলে সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য পাঁচজনের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া সেখানকার বাকি অঞ্চলগুলির সভাপতি ও প্রধানদের একাধিক প্রশ্ন করেন। এমনকী, এলাকা থেকে টাকা তোলা হচ্ছে কিনা তা জানতে সংশ্লিষ্ট বুথের কর্মীদের ওই সম্মেলনেই জিজ্ঞাসা করেন। অন্যদিকে, সিউড়ি-১ ব্লকের নগরী অঞ্চলে প্রধান ও সভাপতিকেও একইভাবে প্রশ্ন করেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের লিড দিতে না পারলে প্রাধানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। অন্যদিকে, এই ব্লকেরই কড়িধ্যা পঞ্চায়েতে দলের অন্দরে ভারসাম্য বজায় রাখতে পাঁচ জনের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন। একইভাবে মল্লিকপুর অঞ্চলেও অনুব্রতবাবু পাঁচজনের কমিটি গড়ার কথা বলেন।
অন্যদিকে, দুবরাজপুরে গোহালিয়াড়া অঞ্চলেও পাঁচজনের কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া চিনপাইয়ে ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের বাড়ি। অথচ গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে দলের ফল খারাপ হওয়ায় ব্লক সভাপতিকে অনুব্রতবাবু প্রশ্ন করেন, লজ্জা লাগছে কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য তিনি লজ্জা লাগারই সম্মতি দিয়েছেন। তবে পারুলিয়া অঞ্চলের বুথ সভাপতি বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি দিয়েও অনেকের চাকরি না হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। সেই কারণে ভোটে প্রভাব পড়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে বলেন, এলাকায় আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে কোনও ব্যক্তি মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে? সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তার নামে থানায় এফআইআর করার নির্দেশও দেন। পুরসভার চেয়ারম্যানকে আরও নির্দেশ দেন, সামনে ভোট আসছে। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে শহর সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে কাজ করুন। চেয়ারম্যান অবশ্য তা মেনে চলার সম্মতি জানিয়েছেন।
তবে এদিনের সম্মেলনে অনুব্রতবাবু প্রত্যেক অঞ্চল ও ব্লক সভাপতির কাছ থেকে অঙ্গীকার করান, আগামী বিধানসভা ভোটে সেখানে জয়ী হবে কিনা। তা নিয়ে প্রায় প্রত্যেক অঞ্চল সভাপতিই ভোটে লিড বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। এমনকী, কত ভোটের লিড হবে তা সভাপতিদের কথা মতো লিখে রাখেন সহ সভাপতি অভিজিৎবাবু। যেসব বুথে বামেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে, সেখানে তাদের দলে টানার পরামর্শও দিয়েছেন জেলা সভাপতি।
এদিন ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বাইরে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা শাল বিক্রি করতে বসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে অনুব্রতবাবু শালও কিনেছেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরে এখন কার্ফু চলছে। তাই তাঁরা এখানে এসে ব্যবসা করছেন। দলের এক নেতা বলেন, এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি নেই। কাশ্মীরি ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে অনুব্রতবাবু মানবিকতা দেখিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে শাল নিয়ে এখানে এসেছি। আরও কিছুদিন থাকব। ভালো বিক্রি হচ্ছে।