কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকালে করিমপুর-২ ব্লকের ধোড়াদহ গ্রামের একটি ফুটবল মাঠ থেকে রোড-শো শুরু হয়। এদিন ধোড়াদহ থেকে রোড শো শুরু হয়ে মহিষবাথানে এসে শেষ হয়। রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা সোহমকে দেখা ও বরণ করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সোহম আসার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা ফুল ছিটিয়ে, ফুলের স্তবক দিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে বরণ করে নেন। সোহমের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। সোহম সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, দিদির উন্নয়নের জন্য তৃণমূলকে ভোট দিন। মহিষবাথানে রোড-শো শেষ করে তিনি আবার করিমপুর-১ ব্লকের হোগলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় রোড-শো করেন। এই রোড-শো শেষ হয় সুন্দলপুরে। এই জায়গাতেও রাস্তার পাশে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল। এখানেও সোহমকে ফুল ছিটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে এলাকার মহিলারা বরণ করে নেন। এদিন সোহমের রোড শো ঘিরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। অনেকে মোবাইলে ছবি তোলার জন্য উৎসাহী হয়ে পড়েন। সোহমকে দেখতে দীর্ঘক্ষণ ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা অপেক্ষা করছিলেন। সোহমের গাড়ির পিছনে প্রচুর বাইক নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মিছিল করেন।
অন্যদিকে, এদিন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সমর্থনে রোড-শো করেন রাহুল সিনহা। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের অঞ্জনা বসু, দেবিকা মুখোপাধ্যায়, ভারতী ঘস, রূপা ভট্টাচার্য সহ একঝাঁক কলাকুশলী। এদিন বালিয়াডাঙা থেকে বিজেপির রোড-শো শুরু হয়। বানিয়াকান্দি, সিঙ্গিডাঙা, দিঘলকান্দি, মুরুটিয়া, মহিসবাথান হয়ে গোয়াসে শেষ হয়। এদিন এই রোড শো দেখতেও বহু মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
রাহুল সিনহা বলেন, রাজ্যে যে সরকার চলছে তা তোলাবাজির সরকার। এই সরকারের আমলে তোলাবাজি ছাড়া কোনও কাজ হয় না। এই সরকার দুর্নীতির সরকার। এই সরকারের আমলে কোনও উন্নয়ন নেই। কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। রাস্তাঘাট খারাপ। মানুষের কথা বলার অধিকার হারিয়েছে। তিনি বলেন, এই বিধানসভা উপনির্বাচনে যে তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে, সেই তিনটি আসনে আমরা জিতব। এই নির্বাচনে বর্তমান সরকারের কোনও পরিবর্তন হবে না, তবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের মানুষের কাছে একটা বার্তা যাবে। এই সরকারের অনেক নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের জন্য আগামী দিনে জেল যাত্রা নিশ্চিত। তিনি এনআরসি নিয়ে বলেন, এনআরসি নিয়ে সব দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কোনও মানুষকে দেশ ছাড়তে হবে না, শুধু অনুপ্রবেশকারী ছাড়া। তাই দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেবে করিমপুরের মানুষ।