পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দশটা নাগাদ ভাইঝির বিয়ে উপলক্ষে লিটন উমরপুর ঘোড়শালা ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে তাঁর এক আত্মীয় ও বন্ধুকে নিয়ে বাইকে চেপে বারালায় আসছিলেন। বিয়েবাড়িতে ফেরার পথে উমরপুর-মুরারই রাজ্য সড়কের জরুর ও বারালায় একটি বাঁকের কাছে একটি গাছে গিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা মারলে তিনজনই গুরুতরভাবে জখম হন। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনজনকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পথেই ঝন্টু ও মিঠুনের মৃত্যু হয়। জখম লিটনকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর আসতেই বিয়েবাড়িতে শোকের ছায়া নামে। বিয়ের সমস্ত আয়োজন বন্ধ করা হয়। বরযাত্রীদের জন্য ভোজের আয়োজনও বন্ধ হয়ে যায়। কোনওরকমে বিয়ে সারা হয়। জখম লিটনের ছেলে রিপন শেখ বলে, সোমবার জেঠতুতো দিদির বিয়ে ছিল। সেজন্য বাবা আমার পিসেমশাইকে বাইকে আনতে গিয়েছিল।
কনে হাসমিরা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এমন শুভ দিনে দুর্ঘটনায় পিসেমশাই ও এক আমন্ত্রিত মারা গিয়েছেন এবং কাকা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমার বিয়ের দিনে এমন ঘটবে ভাবতে পারছি না। পরিবারের আরেক সদস্যা কাশ্মীরা বিবি বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। বিয়েবাড়ির সব আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে।