পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোট থানার ঝিলু-১ পঞ্চায়েতের কুন্দা গ্রামের বাসিন্দা তুষারকান্তি হাজরা কয়েকমাস আগে একটি ফোন পান। একটি মোবাইল সংস্থার তরফে টাওয়ার বসানোর উপযুক্ত জমি আছে কি না তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। বাড়ির ছাদে টাওয়ার বসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তুষার। টাওয়ার বসালে তাঁকে ৩৫লক্ষ টাকা এবং মাসে ভাড়া বাবদ ৩৫হাজার টাকা ও একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। টাওয়ার বসাতে গেলে তাঁকে প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা জমা দিতে হবে। তবে, সেই টাকা কিছুদিন পর সুদ সহ তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। এরপর তাঁকে জমির পরচা, ভোটার, আধার ও প্যানকার্ডের জেরক্স কপি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ও বাতিল চেক জমা দিতে বলা হয়। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও তাঁকে দেওয়া হয়। তাতে সব কিছু তথ্য পাঠাতে বলা হয়। দিন কয়েক পর তাঁকে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। তাতে কয়েকদফায় চেকে, নগদে ও এনইএফটি করে তিনি ৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৮৮ টাকা জমা দেন। টাকা জমা দেওয়ার রসিদও তাঁকে দেওয়া হয়। তারপর বেশ কিছু দিন কেটে যায়। তাঁর বাড়ির ছাদে টাওয়ার বসেনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয় মোবাইল সংস্থার অফিসার পরিচয় দেওয়া লোকজন। কলকাতা গিয়ে মোবাইল সংস্থার অফিসের হদিশ পাননি তিনি। এরপরই তিনি পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যেসব অ্যাকাউন্টে তাঁকে টাকা জমা দিতে বলা হয় সেগুলির নম্বর ও কয়েকটি ফোন নম্বর তিনি পুলিসকে দিয়েছেন।