কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালটি দীর্ঘদিনের প্রাচীন। সেখানে প্রতিদিন রোগীর চাপও অত্যধিক থাকে। তবে, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার, নার্স সহ অন্যান্য কর্মীরও অভাব রয়েছে। তার মধ্যেও দপ্তর সেখানে চারজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, রবিবার ওই হাসপাতালে সকাল থেকে কোনও চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন না। তার জেরে রোগীদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এমনকী, অসুস্থতা নিয়ে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও পরিষেবা না পেয়ে তাঁদের অসুস্থতা আরও বেড়েছে বলে দাবি। এই ঘটনায় তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিন হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক না থাকার প্রতিবাদে রোগীর আত্মীয়রা বিক্ষোভও দেখান। সেই খবর পেয়ে পুলিস হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অবশ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এক চিকিৎসককে ডিউটিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে। এব্যাপারে সিউড়ি সদর মহকুমার এসিএমওএইচ প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, দুবরাজপুর হাসপাতালে এদিন বিএমওইচের ডিউটি ছিল। কিন্তু, তিনি এদিন সময়মতো কাজে যোগ দেননি। ঘটনার খবর পেয়ে একজন হোমিওপ্যাথির মেডিক্যাল অফিসারকে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট বিএমওইচকে এদিন রেডিওগ্রাম করা হয়েছে। পরে তাঁকে শোকজও করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুবরাজপুর হাসপাতালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুবরাজপুর শহরে সেভাবে কোনও নার্সিংহোম নেই। তাই বাসিন্দাদের ওই গ্রামীণ হাসপাতালই ভরসা। তবে বড় কোনও সমস্যা হলে সেখানকার রোগীদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে অথবা দুর্গাপুরে নিয়ে যেতে হয়।
এদিন দুবরাজপুরেই তৃণমূলের বুথ সম্মেলনে শহর সভাপতি তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে হাসপাতালের দুরবস্থার কথা অনুব্রতবাবুকে জানান। তিনি গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিও জানিয়েছেন।
পরে পীযূষবাবু বলেন, দুবরাজপুর হাসপাতালে বহু দূর দূরান্তের রোগীরা পরিষেবার জন্য আসেন। পার্শ্ববর্তী খয়রাশোল ব্লকের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের একাংশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু, এই হাসপাতালে সেভাবে পরিষেবা নেই। তাই স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হলে দুবরাজপুরের বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তাই এদিন অনুব্রতবাবুর কাছে প্রস্তাব রেখেছি। আমরা আশায় রয়েছি, দুবরাজপুরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
অন্যদিকে, এদিন চিকিৎসক না থাকার জন্য বহু রোগীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। এই ব্যাপারে রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে সেরিনা বিবি বলেন, ছেলের বুকে ব্যথা হচ্ছে। তাই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেও দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার ফলে ছেলের কষ্ট আরও বেড়েছে। আনিশা বিবি বলেন, মেয়ের সারারাত ধরে কাশি ও বমি হয়েছে। তাই সাতসকালেই সুস্থ করার জন্য মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু, এখানে কোনও চিকিৎসক নেই। তার জন্য আমাদের খুবই ভোগান্তি হয়েছে।