কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই বধূ বাড়িতে শুয়েছিলেন। সেইসময় ভিতরে ঢুকে তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, অ্যাসিডও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে ওই বধূ চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা দরজার ছিটকিনি বাইরে থেকে খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে ওই বধূ বাড়ির সামনে একটি পুকুরের জলে ডুব দিয়ে আগুন নেভান। কিন্তু তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। পরে তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, ওই বধূর শরীরের ৩০শতাংশ পুড়েছে। তবে অ্যাসিড ছোঁড়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাঁদের মধ্যে মাঝেমাঝেই অশান্তি হতো। স্ত্রী প্রতিবাদ করার জেরেই আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। জখম বধূর পরিবারের তরফে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জখম বধূর বাবা মাগারাম ঘোষ বলেন, জামাই আমার মেয়েকে কয়েক মাস আগে মারধর করেছিল। সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। ফের শনিবার রাতে মেয়ের মুখে অ্যাসিড ফেলে ও গায়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা। তিনি বলেন, জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তা জানতে পারায় মেয়েকে অত্যাচার করত। ওই রাতে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বধূর স্বামী জীবন অঙ্কুর বলে, ওই রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে খবর পেয়ে স্ত্রীকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।