কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকার বলেন, আইএসওর শংসাপত্র পাওয়া আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। আমরা যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের উপরও জোর দিচ্ছি। আরও একটি নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজ গড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় রেলের পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে ট্রেনের সময় নিয়ে সোশ্যাল সাইটে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু পরিচ্ছন্নতার নিরিখে রেল যে ক্রমশ উন্নতি করছে এই আন্তর্জাতিক শংসাপত্রই তার প্রমাণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে এই স্টেশনে। এক সময় পানের পিক ও আবজর্নায় ভরে থাকা স্টেশনে লেগেছে পরিচ্ছন্নতার ছোঁয়া। স্টেশনের ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে ফুটে উঠেছে অভিনব পেন্টিং। স্টেশন চত্বরকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে চলছে অভিযান। পাশাপাশি যততত্র পিক বা থুতু ফেললে ফাইনের কড়াকড়ি রয়েছে। এছাড়াও স্টেশনজুড়ে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকায় অপ্রয়োজীয় জিনিস স্টেশনে বা রেল লাইনে না ফেলে যাত্রীরা তাতেই ফেলছেন। এছাড়াও পানীয় জলের ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত শৌচালয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তা নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়। পরিবেশ সংক্রান্ত শংসাপত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, আসানসোল রেলওয়ে স্টেশন চত্বরের অবসর কক্ষ, ভিআইপি লাউঞ্জ, প্রতীক্ষালয়, পার্সেল সার্ভিস, স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা, জঞ্জাল সাফাই, জল সংরক্ষণ ও ট্রেন অপারেশন টিকিটিং ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিবেশ বান্ধবভাবে করা হয়।
তবে, শুধু পরিবেশ বান্ধব স্টেশনই নয়, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল। বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে বর্ধমানে স্টেশনে একই সময়ে দুটি ট্রেন চলে আসায় ওভারব্রিজে ওঠা-নামার সিঁড়িতে হুড়োহুড়ির জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তার পুনরাবৃত্তি কোনওভাবেই আসানসোল স্টেশনে যাতে না হয় তা নিয়ে তৎপর কর্তৃপক্ষ। তাই বেশ কিছুদিন ধরে তিন ও চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে পূর্বদিকের একটি সিঁড়িতে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রী সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসানসোল স্টেশনে তৃতীয় একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, এতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে যাবে।
অন্যদিকে, নিরাপত্তার কথাটিও মাথায় রাখা হচ্ছে। তাই স্টেশনের মূল প্রবেশ পথে লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন ও মেটাল ডিটেক্টর গেট বসানো হয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য থাকছেন আরপিএফ কর্মীরাও। বড় লাগেজ নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে ওই মেশিনে পরীক্ষা করে নিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু স্টেশনে প্রবেশের একাধিক গেট রয়েছে, তাই মূল প্রবেশপথ ছাড়া যাত্রীদের লাগেজ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রবেশ পথেই এই মেশিন বসাতে হবে বলে অনেকে দাবি করছেন। তাহলে এয়ারপোর্টের মতো সমস্ত নিরাপত্তা বলয় থাকবে স্টেশনে।