কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
এদিন ব্যবসায়ীরা দিলীপবাবুকে কাছে পেয়ে তাঁদের নানা সমস্যা বিশেষ করে বাজারের দোকানের ভাড়া ও বিদ্যুতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অনেক ব্যবসায়ী ক্ষোভও জানান। দিলীপবাবুও তাঁদের সমস্যার কথা মেনে নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, রেলের জমিতে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ও আবাসন তৈরির দু’টি প্রকল্প আমি জমা দিয়েছি। আগে যিনি খড়্গপুরের ডিআরএম ছিলেন, তাঁর অসহযোগিতার জন্য অনেক কাজ হয়নি। এখন যিনি এসেছেন, তিনি কাজের লোক। আশা করছি সমস্যা সমাধানের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রসঙ্গত, রেলের সমস্যাই এবারের ভোটে বড় ইস্যু। রেলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূলও। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও রেলের বিরুদ্ধে বঞ্চনা, অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। গোলবাজারে প্রায় ৪৭০টি দোকান আছে। সেই সব দোকানে বিদ্যুতের সমস্যা আছে। ভাড়া নিয়েও আছে সমস্যা। ব্যবসায়ীরা রেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন। এদিন ব্যবসায়ীরা দিলীপবাবুর উদ্দেশে বলেন, আমাদের সমস্যা বেশ কয়েক বছরের। এর আগের সংসদ সদস্যরা কিছু করেননি। আদালতে মামলা করে আমরা বেঁচে আছি। তাঁরা আরপিএফের অত্যাচারের কথাও বলেন। ব্যবসায়ীরা রেলের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দেন। যদিও ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্ষোভ নয়, আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। তাঁরা দিলীপবাবুকে বলেন, আপনি আমাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, রাম মন্দিরের সমস্যার যদি সমাধান হয়ে যায় আমাদের কেন হবে না?
সংসদ সদস্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আমি সমস্যার কথা জানি। এর আগে রেলমন্ত্রী সহ সর্বত্র বলেছি। আবার সংসদ চালু হলে বিষয়গুলি তুলে ধরব। আসলে আমলাতান্ত্রিক বাধাও আছে। তার মধ্যে দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রেল এলাকায় বহু বস্তি আছে। সেখানেও পানীয় জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয়ের সমস্যা আছে। রেল মাঝেমধ্যে তাদের উচ্ছেদের হুমকি দেয়। আমরা বলেছি, এভাবে করলে চলবে না। এতদিন ধরে যাঁরা আছেন, তাঁরা কোথায় যাবেন? আমি রেলকে অবাসন ও মার্কেট কমপ্লেক্স করার জন্য দু’টি প্রকল্প জমা দিয়েছি।
পরে সাংবাদিকদের কাছে দিলীপবাবু দাবি করেন, এবার বিজেপি প্রার্থী এক লক্ষ ভোট পাবেন। তিনি বলেন, তৃণমূল টাকায়, পুলিসে এগিয়ে আছে। আর অমরা খড়্গপুরে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। খড়্গপুরের বাসিন্দারা বিজেপির সঙ্গে আছেন। ওরা আমাদের কাউন্সিলার ভাঙিয়ে বোর্ড গঠন করেছে। রাজ্যে ওদের সরকার আছে। উন্নয়ন তো ওদের করার কথা। দু’টি হাসপাতালে নিয়মমতো আমি ছিলাম। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমকেডিএর মিটিংয়ে আমাকে ডাকা হয় না। পুরসভা আমার বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাজ করবে না বলে দিয়েছিল। যিনি ওদের প্রার্থী তথা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে নিয়ে ওদের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মিটিং করে শহর উন্নয়নের প্রকল্প জমা দিতে বলেছিলাম। আমি দিল্লি থেকে টাকা আনব বলেছিলাম। কিন্তু দু’বছরে ওরা ডিপিআর তৈরি করতে পারেনি। এখন উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি কিছু করিনি।