কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজা সিংহরায় নামে ওই ব্যবসায়ীর রানাঘাট রেল স্টেশনের হলকামরায় একটি পাইকারি বিস্কুট ও কেকের দোকান রয়েছে। সেই দোকান খোলার জন্য এদিন ভোর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে টোটো করে যেতে শেষ দেখা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কথা শুনে রানাঘাট থানার পুলিস টোটো চালককে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস।
রাজার পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী এবং বছর ছয়েকের মেয়ে রয়েছে। তাঁর দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোরের ট্রেনে পাইকারি মাল আসে। সেই কারণে প্রতিদিন ভোরে রাজাকে দোকান খুলতে হয়। রাজা প্রতিদিন ভোর চারটে থেকে সাড়ে চারটে মধ্যে রানাঘাট স্টেশন এলাকায় নিজের দোকান খোলার জন্য বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হতেন। রবিবার তিনি সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তাঁর বাবা তপন সিংহরায় দোকানের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু সকাল ছ’টা বেজে গেলেও দোকান খোলা হয়নি। দোকান বন্ধ দেখে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপরই তাঁর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এর মধ্যেই খবর আসে বাড়ির অদূরের একটি ক্লাব ঘরের কাছে রাজার সাইকেল, টুপি ও মাফলার পড়ে রয়েছে। এদিকে, রাজার মোবাইলও সুইচ অফ রয়েছে দেখে খবর দেওয়া হয় রানাঘাট থানায়। পাশাপাশি পরিবারের সদস্য ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, রাজার খোঁজ চালানোর সময় একজন টোটো চালকের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের জানান, রাজা ভোরে রানাঘাটের সড়কপাড়া এলাকার দমকল কেন্দ্রের সামনে থেকে তাঁর টোটোয় চাপেন। তাঁকে স্টেশনের কাছে ভাঙরাপাড়া মোড়ে নামিয়ে দেন টোটোচালক। এরপর ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে চলে যান টোটোচালক। পরিবারের দাবি, কারও সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। স্থানীয় কাউন্সিলার শঙ্কু অধিকারী বলেন, যেখানে রাজার সাইকেল পড়েছিল সেই স্থানটা দেখলে মনে হচ্ছে, সেখানে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এলাকায় শান্ত ছেলে হিসেবে পরিচিত রাজার কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না সেটা আমাদের জানা নেই। তবে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিসকে অনুরোধ করেছি। অন্যদিকে, রাজার মা মিতালি সিংহরায় বলেন, দোকানে যাওয়ার নাম করে ছেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। পুলিসের কাছে তাকে দ্রুত ফেরানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী তাঁর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।