পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বহু বছর ধরে বেলডাঙায় কার্তিক লড়াই চলে আসছে। ক্লাব কর্তাদের দাবি, দিনদিন এর আকর্ষণ বাড়ছে। আর এই কার্তিক লড়াই দেখতে বছরভর মুখিয়ে থাকেন বহু মানুষ। শোভাযাত্রা বের হওয়ার আগে আশপাশের গ্রাম সহ দূর-দূরান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ শহরের দু’পাশে ভিড় জমান। কাতারে কাতারে মানুষ বিভিন্ন বাড়ির ছাদেও ভিড় জমান। তিনটে বাজতেই প্রতিমা কাঁধে শহরের পথে নেমে পড়ে শোভাযাত্রা। কারও প্রতিমার উচ্চতা ৩০ফুট তো কারও প্রতিমার উচ্চতা তারও বেশি। মূলত কার্তিক লড়াই হলেও সেখানে শিবের রমরমাই বেশি। পুরসভার পক্ষ থেকে ট্রলির ব্যবস্থা করা হলেও ক্লাবগুলি বরাবর বিশালাকার মূর্তি কাঁধে নিয়েই নাচে, চলে শহর পরিক্রমা। একটি দলকে টেক্কা দিতে পিছনের দল ঝড়ের বেগে ধাওয়া করে। টেক্কা দিতে গিয়ে ছোটখাট ধস্তাধস্তিও হয়। আর এই টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রাস্তার দু’পাশ থেকে উৎসাহ দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ এই লাড়াই উপভোগ করেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কার্তিক লড়াইয়ের জন্য শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারণ প্রতিমার উচ্চতা এতটাই হয় যে তা বৈদ্যুতিক তারের খুঁটিও পেরিয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ও শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে রেখেছে পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান ভরতবাবু বলেন, শহরের সমস্ত খোলা ড্রেন কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। আলোর জন্য আমরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি জেনারেটরের ব্যবস্থা রেখেছি। তিনটি মেডিক্যাল ক্যাম্প সহ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স শহরের তিনটি সুরক্ষিত জায়গায় রাখা থাকছে। এছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলার টিম, পুরসভার পক্ষে পানীয় জলের ব্যবস্থাও করে রাখা হবে। এবারই প্রথম আমরা ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালাচ্ছি। পুরসভার পাশাপাশি শোভাযাত্রা নিয়ে সতর্ক রয়েছে বেলডাঙা থানার পুলিসও। পুলিস জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী এনে শহর মুড়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সজাগ থাকছে পুলিস। পুলিসের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাত দশটার মধ্যে শোভাযাত্রা শেষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পুলিসের। এই মর্মে ক্লাব কর্তাদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।