কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিন আগে কংসাবতী নদী পেরিয়ে দলমার হাতির একটি পাল কুমারী জঙ্গল হয়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হয়ে শঙ্করবনীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। ওই দলে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০টি হাতি রয়েছে। গত তিনদিন ধরে হাতির দলটি সন্ধ্যা হলেই পেঁচাবিন্ধা, শুশনিগেড়িয়া গ্রামের চাষ জমিতে ব্যাপক ক্ষতি করছে। শনিবার রাতে পেঁচাবিন্ধা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ডে-নাইট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা হতেই হাতির পাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পেঁচাবিন্ধার চাষজমিতে ঢুকে পড়ে। হুলাপার্টির লোকজন হাতির দলটিকে তাড়িয়ে নয়াগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। হাতি তাড়ানোর সময় হুলাপার্টির এক সদস্য হাতির কাছে পড়ে যাওয়ায় তাঁকে তুলে আছাড় মারে। বাসুদেব মাহাত নামে ওই হুলাপার্টির এক সদস্য গুরুতর জখম হন। বর্তমানে তিনি কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পেঁচাবিন্ধা ক্রিকেট মাঠে টুর্নামেন্ট চলাকালীন হাতির পাল ঢুকে পড়ে। তড়িঘড়ি খেলা বন্ধ করে দেন উদ্যোক্তারা। ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। হাতির দল সারারাত জমিতে ক্ষয়ক্ষতি করে। এদিন সকালে ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পেঁচাবিন্ধা গ্রামের রাস্তায় অবরোধ করেন। খবর পেয়ে সাঁকরাইল থাকার ওসি এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। বনদপ্তরের আধিকারিকরা লিখিতভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
পেঁচাবিন্ধা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুমন মাইতি বলেন, আমার আগে থেকে বনদপ্তরকে জানিয়েছিলাম হাতিকে ব্যারিকেড করে রাখার জন্য। এই খেলা অনেক আগে থেকে ঠিক হয়েছিল। খেলার জন্য ওড়িশা ও বারিপাদা থেকে লোকজন এসেছিলেন। রাতে খেলার আয়োজন করতে প্রায় দু’লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, গত তিনদিন ধরে হাতিগুলিকে এলাকা থেকে সরানো যায়নি। যার ফলে কয়েকশো হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সুবর্ণরেখা নদী পার করে তাদের নয়াগ্রাম হয়ে ওড়িশার দিকে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছি।