পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, একাধিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। তাই আমরা পরিকাঠামোগত তথ্য জমা দিয়ে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনও বিদ্যালয় বন্ধ করা আমাদের লক্ষ্য নয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করে ছাড়পত্র না নিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত, জেলা ও মহকুমা শহরগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো দিনের পর দিন বেসরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। বাঁকুড়া জেলা সদর, বিষ্ণুপুর ও খাতড়া মহকুমা ও মফস্সল এলাকায় প্রায় ৩৫০টির বেশি বেসরকারি বিদ্যালয় চলছে। যারমধ্যে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ও ছাত্রছাত্রী সংক্রান্ত কোনও তথ্যই জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তারই মাঝে জুলাই মাসে বাঁকুড়ার পুয়াবাগানের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর মৃতের পরিবার ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের গাফিলতি এবং পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওই সময়ে একাধিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক জেলাশাসকের গণ অভিযোগ কেন্দ্রে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানান।
তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করতে গেলেই কর্তৃপক্ষ তাঁদের এড়িয়ে চলছেন। কখনও আবার দুর্ব্যবহারও করছেন। ওই ঘটনার পরেই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করে পরিকাঠামো সম্পর্কিত তথ্য জমা দিয়ে জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে দ্রুত অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। কিন্তু, তারপর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬টি বিদ্যালয় জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন। তাই জেলা প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে ফের সতর্ক করে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়গুলি অনুমতি না নিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।
জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে দেওয়া তথ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল বেসরকারি বিদ্যালয়ের ভবনটি নিজস্ব জায়গায় নাকি কোনও লিজ নেওয়া জায়গায় রয়েছে। ভবনটির জন্য দমকল বিভাগের ছাড়পত্র, ছাত্রছাত্রীদের জন্য খেলার মাঠ, পাঠাগার, শারীরিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে কি না? বিদ্যালয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত কেমন, নিরাপত্তার ব্যবস্থা, কত বছর ধরে বিদ্যালয়টি চলছে, সিসিটিভি, ছাত্রবাস, পুলকারের ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি পাওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো থাকার কথা তার বিন্দুমাত্রও নেই। সেই জন্যই জেলাশাসকের নির্দেশিকার পর প্রায় আড়াইমাস কেটে গেলেও বিদ্যালয়গুলি শিক্ষা দপ্তরের কাছে তথ্য দিয়ে আবেদন করেনি।