রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চরমেঘনা তপসিলি জাতি অধ্যুষিত গ্রাম। এই গ্রামকে দেখে মনে হয় ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপ। তাঁদের প্রতেকের সচিত্র পরিচয় পত্র থাকলেও তাঁদের জীবনে নেই কোনও স্বাধীনতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঁটাতারের ওপারে বাসিন্দারা থাকেন বলে সব সময় বিএসএফের নিয়মের বেড়া জালে আবদ্ধ তাঁদের জীবন। এমনকী রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। ওই গ্রামে বিএসএফের কাছে সমস্ত কিছু জবাবদিহি করে ১৫ কিলোমিটার দূরে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অসুস্থদের নিয়ে যেতে হয়। স্থানীয়দের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, কাঁটাতারের ওপারে বাসিন্দারা থাকে বলে ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। এমনকী গ্রামে যে দুই একটি ছোটখাট দোকান আছে তাদেরও দিনে অল্প দ্রব্য নিয়ে এসে বিক্রি করতে হয়। গ্রামের অনেক ছেলেমেয়ে শিকারপুর বা করিমপুরে লেখাপড়া করে। তাদেরকেও সব ছেড়ে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে গেট পেরিয়ে গ্রামে ঢুকতে হয়। তা না হলে বিএসএফের কাছে হাজার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সেজন্য এলাকার ছাত্রছাত্রীরা রাতে কোথাও লেখাপড়া করতে যেতে পারে না। বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, অনেকবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলিকে বললেও তার সমাধান হয়নি। এবারও ভোটে রাজনৈতিক দল প্রচারে এলে এই সমস্যা সমাধানের দাবি তাঁরা জানাবেন। বাসিন্দারা বলেন, ২০১৬ সালের আগে গ্রামে রাস্তা ছিল না। মহুয়া মৈত্র জয়ী হওয়ার পর বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তা তৈরির ব্যবস্থা করেছেন। তবু মূল সমস্যার সমাধান হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের জীবন সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে আবদ্ধ। আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা অনেক অসুবিধার মধ্যে থেকে লেখাপড়া করে। আমাদের নিত্য প্রয়োজনে শিকারপুর, করিমপুর যেতে হয়। যাওয়ার সময় ভারতবাসী হয়েও সচিত্র পরিচয় বিএসএফের কাছে জমা রেখে যেতে হয়। কোনও কারণে সন্ধ্যা ছ’টা বেজে গেলে গ্রামে ঢুকতে গেলে বিএসএফকে হাজার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আমাদের দাবি, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাঁরা বলেন, ভোট আসে, ভোট যায়। অনেকেই বিধায়ক, সংসদ সদস্য হয়। আমাদের এই সমস্যার সমাধান হয় না। আমরা সেই অন্ধকারেই থাকি।