দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো এবং শোভাযাত্রা ঘিরে কাটোয়া শহরে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। তাই আগেভাগেই পুলিসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর, এসআই, এএসআই, কনস্টেবল, মহিলা পুলিসকর্মী সহ সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে। এদিকে শহরে এবার রকমারি থিমের বাহারে মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের। শহরের ইউনিক ক্লাবে আফ্রিকার উপজাতিদের জীবনযাত্রার থিম দেখতে এদিন গভীর রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। গৌরাঙ্গপাড়ার আওয়াজ ক্লাবের ‘বরাহ অবতার’ দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। ক্লাবের সম্পাদক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পুজো এবার ২৪ বছরে পদার্পণ করল। অন্যদিকে, ঝঙ্কার ক্লাবের ‘ইতি তোমাদের মা’ থিমও দকলের নজর কেড়ে। এছাড়া জয়শ্রী সঙ্ঘ, জনকল্যাণ সঙ্ঘ সহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের থিমের মণ্ডপে রাতভর দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় কাছারি রোড, স্টেশন রোড, গোয়েঙ্কা মোড়, পুরসভা মোড়, লেলিন সরণী মোড় সহ রাস্তাগুলিতে প্রচুর সংখ্যক পুলিস মোতায়েন রাখা হয় যাতে দর্শনার্থীদের মণ্ডপ ঘুরে প্রতিমা দর্শন করতে কোনও অসুবিধা না হয়।
এদিকে আজ শোভযাত্রা ঘিরে পুলিসের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে মোট ৮৩টি কার্তিক পুজো হয়। তারমধ্যে ৬৬ টি পুজো শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে। লেনিন সরণী রোড দিয়ে শোভাযাত্রা প্রবেশ করে কাছারি রোড হয়ে কেজি বসু সরণী, টেলিফোন ময়দান, মাধবীতলা রোড, কারাবালাতলা রোড, আতুহাট পাড়া, বারোয়ারি তলা, সিদ্ধেশ্বরী তলা রোড হয়ে শাঁখারি পট্টি, নিচু বাজার দিয়ে থানা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা ঘুরবে। মোট আটটি জায়গায় পুলিস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে পুলিস প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই শোভাযাত্রা শেষ করতে হবে। শোভাযাত্রার রুটের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকছে দমকলের গাড়ি এবং মেডিক্যাল ক্যাম্প। যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তড়িঘড়ি তার ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এদিকে শহরে ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলির মধ্যে থাকা কার্তিক নজর কেড়েছে। পিরামিডের মতো থাক থাক করে মাটির পুতুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় বলে এর নাম থাকা কার্তিক। থাকা কার্তিককে রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন কাহিনী দিয়ে সাজানো হয়।