বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার ও ফেরার পথে বর্ধমান সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের কোর্ট বৈঠকে তিনি হাজির থাকবেন। সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানান রাজ্যপাল। এমনকী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রের র্যা গিংয়ের শিকার হওয়ার বিষয়েও খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি। বৈঠক যে তাঁর নির্দেশেই হচ্ছে তাও জানান রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন হস্টেলের আবাসিকরা উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্যকে। ঘেরাও ওঠার পর বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ডিন ও হস্টেল সুপারদের নিয়ে বৈঠক করার সময় ফের অসুস্থতা বোধ করেন উপাচার্য। বৈঠক ছেড়ে নিজের চেম্বারে চলে যান তিনি। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রেজিস্ট্রার বলেন, উপাচার্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনিবার্য কারণে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই কোর্ট বৈঠকে উপাচার্যের উপস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এমনকী কোর্ট বৈঠক আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা বলেন, এটা লুকোচুরি খেলা হচ্ছে না তো? টিএমসিপি নেতা খন্দেকার আমিরুল ইসলাম বলেন, মানুষের অসুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা ঠিক নয়। এটা অমানবিক ব্যাপার।