বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছে।
আদিবাসীদের অভিযোগ, পলাশডিহায় তাঁদের পাড়ার সামনে এই বহুতল আবাসন হচ্ছে। সেখানে আদিবাসী ছেলেদের কাজের দাবি ও সামগ্রী সরবরাহ করার দাবি জানানো হয়। তারই প্রতিশোধ নিতে স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আদিবাসীদের মারধর করে। কিন্তু পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আন্দোলনরত আদিবাসীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না সব অভিযুক্তকে ধরা হবে, ততক্ষণ আন্দোলন ও ফাঁড়ি ঘেরাও চলবে।
ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাদের সূত্রপাত পলাশডিহা গ্রামের কাছে নির্মীয়মাণ বিশালাকার বহুতল অবসান নির্মাণের সামগ্রী সরবরাহকে কেন্দ্র করে। আদিবাসীরা জানায়, যেহেতু তাদের এলাকার সামনে এই নির্মাণকাজ হচ্ছে তাই স্থানীয় আদিবাসীদের দিয়ে কাজ এবং সামগ্রী সরবরাহ করার দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু তৃণমূল প্রভাবিত গ্রাম্য একটি কমিটি পুরো সামগ্রী সরবরাহ করতে চাইছিল। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। মঙ্গলবার এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয় এবং দু’জন জখম হয়। যদিও আদিবাসীদের দাবি, তাদের স্থানীয় নেতা শ্যামল মুর্মুকে বিনা প্ররোচনায় মারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরই প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তাররের দাবিতে বুধবার সকালে পলাশডিহা থেকে ফরিদপুর ফাঁড়ি পর্যন্ত মিছিল করে এসে পুলিসকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় তারা। যদিও অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় ধামসা মাদল বাজিয়ে হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে এসে এদিন ফাঁড়ি ঘেরাও করে। দীর্ঘসময় ২ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করে রাখে। পরে অবশ্য জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলেও সার্ভিস রোড অবরোধ ও ফাঁড়ি ঘেরাও করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এসিপি(পূর্ব) অরিশ বিলাল সহ উচ্চ পদস্থ পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার কথা জানালেও আন্দোলন চলতে থাকে। সন্ধ্যার পর ফের তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।
আদিবাসী গাঁওতার রাজ্য নেতা সুনীল সোরেন বলেন, বার বার আদিবাসীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। আমরা আর মেনে নেব না। অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেভ ডেমেক্রেসির সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, আমরা আদিবাসীদের উপর আন্দোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের পাশে রয়েছি। ব্যবসা করার অধিকার সবার রয়েছে। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা মানস রায় বলেন, এর সঙ্গে দলীয় কোনও বিষয় জড়িত নয়। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় আদিবাসীদের সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে বিবাদ হয়েছে। আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম।