বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া গুডস শেড রোডের বাসিন্দা শরৎ মেহেতাকে ২০১৮ সালে একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার এজেন্ট পলিসি কেনার জন্য বলেন। তাঁকে এককালীন ৮০ হাজার টাকা প্রিমিয়াম বাবদ দিতে বলা হয়। ৫ বছর কোনও টাকা তোলা যাবে না বলে জানানো হয় তাঁকে। ১০ বছর পর তিনি ৩ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন বলে বিমা সংস্থার এজেন্ট আশ্বাস দেন। সেইমতো তিনি ৮০ হাজার টাকার টাকা দিয়ে পলিসি করান। সেই বছরেরই ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁর কাছ থেকে আরসিডিকে নামে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি সংস্থা থেকে ফোন করা হয়। তাতে জানানো হয়, আরসিডিকে ইনস্যুরেন্স রেগুলেটারি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএ)-এর অনুমোদিত। বিমা সংস্থার সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বিবাদ মেটায় সংস্থাটি। সংস্থার তরফে দু’জন ফোন করে তাঁকে ৮৫ হাজার টাকা ফের জমা দিতে বলেন। তিনি তা চেকে জমা দেন। এরপর তাঁকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। মেয়াদ শেষে তিনি ৩০ লক্ষ টাকা পাবেন বলে জানানো হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে ৭০ লক্ষ টাকা জমা করলে কিছুদিনের মধ্যে তিনি ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পাবেন বলে ফোনে তাঁকে আরসিডিকের তরফে জানানো হয়। তাতে বিশ্বাস করে তিনি চেকে ৭০ লক্ষ টাকা জমা দেন। এ বছরের ২৮ অক্টোবর তাঁকে টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সেইমতো তিনি সল্টলেকে সংস্থার অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংস্থার কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। ১ নভেম্বর ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিস চেক জমা পড়া অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে প্রতারণায় রাজেশ, কৃশানু ও দেবাশিসের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে।