বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আমাদের সরকারের আমলে প্রতিটা গ্রামের রাস্তা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নতুন নতুন রাস্তা পানীয় জল সহ সব রকমের উন্নয়ন মানুষ পেয়েছে। আপনারা ২০১৬ সালে করিমপুর বিধানসভায় মহুয়া মৈত্রকে জিতিয়েছিলেন। বিধায়ক হয়ে গত তিন বছরে মহুয়া মৈত্র করিমপুরের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনাদের চাহিদামতো নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। নাটকের জন্য লালন মঞ্চ তৈরি হয়েছে। পার্ক হচ্ছে। আগামী দিনে এখানে স্টেডিয়াম হবে। খেলার মাঠের উন্নয়ন হবে। করিমপুরের এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাদের প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়কে জয়ী করুন।
তিনি বলেন, বিজেপি রেলপথ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের জন্য টাকা অনুমোদন করেছিলেন। বিজেপি সরকার আসার পর এই রেলপথের জন্য এক পয়সাও অনুমোদন করেনি। এরা মানুষকে শুধু মিথ্যা কথা বলতে জানে। উন্নয়নের জন্য কিছু করে না। করিমপুরের মানুষ শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন। তাই জেলার অন্য জায়গায় কী হয়েছে তা না দেখে লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে আবু তাহেরকে লিড দিয়েছেন। এবারও আমাদের বিশ্বাস করিমপুরের মানুষ আবার আমাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে করিমপুরের উন্নয়ন বজায় রাখবেন।
রাজীববাবু বলেন, যেদিন দিদি আমাকে নদীয়া জেলার দায়িত্ব দিলেন সেদিন আমি গর্ব অনুভব করি। কারণ, এই জেলায় জন্মেছিলেন চৈতন্যদেব। যিনি জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সর্ব ধর্ম সমন্বয় করেছিলেন। এই ভূমিতে কোনও জাতপাতের স্থান নেই। কবির ভাষায় মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান। মুসলিম তার নয়নমণি হিন্দু তাহার প্রাণ। আমরা সেই রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা জাতপাত রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী। উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিন। বিমলেন্দু সিংহরায়কে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।
তিনি বলেন, তৃণমূল মেহনতি মানুষের জন্য, ছাত্রযুবদের জন্য, গরিব মানুষ সহ সব মানুষের জন্য কাজ করে। তাই দিদির হাত শক্ত করতে আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিন। এদিন এই মঞ্চে বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এনআরসি করবে হিন্দু মুসলিম সকলকে তাড়ানোর জন্য। আমরা বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। বিজেপি বলছে হিন্দুদের শরণার্থী করে রাখবে। যারা শরণার্থী হবে তারা কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাদের থাকবে না কোনও পরিচয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প। ওখানে কী অবস্থায় হিন্দুরা আছে তা দেখুন। বিজেপি মানুষকে শুধু ভুল বুঝিয়ে চলেছে। তাই বাংলার স্বার্থে আপনাদের স্বার্থে তৃণমূলকে ভোট দিন। এদিন এই সভায় প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায় ছাড়াও সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ও ব্লক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।