গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওসি বাসুকিনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছি। এদিকে, খুব শীঘ্রই আমরা অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, হোটেলের রুমে পিয়ালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলেও তাঁর হাত দু’টি সামনের দিকে বাঁধা দেখে প্রথম থেকেই এটিকে খুনের ঘটনা বলে ধরে নিয়েছিল পুলিস। পিয়ালির ছেলে দেবজ্যোতিও পুলিসকে জানিয়েছিল, রাতে তাদের রুমে একজন লোক এসেছিল, যাকে সে চেনে। কিন্তু, নাম জানে না। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর পিয়ালি ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। ওইদিনই হোটেল থেকে পিয়ালি বোন মিতালি দেড়েকে একাধিক মেসেজ করেন। তিনি জানান যে, আমি খুন হয়ে যেতে পারি। আমার কিছু হলে প্রেমিকই দায়ী থাকবে। এছাড়া পরিবারের বিভিন্ন সমস্যার কথা এবং স্বামী তাঁকে সময় দেন না বলেও মেসেজে উল্লেখ করেন পিয়ালি। আর সেই মেসেজ পেয়েই পিয়ালির বাবা প্রফুল্ল দেড়ে সহ পরিবারের লোকজন পরদিনই ডানকুনি থানায় হাজির হন। তারপরই তাঁরা খবর পান, দীঘার হোটেলে পিয়ালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
দীঘার হোটেলে খুন কিংবা আত্মহত্যা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, সচরাচর হোটেল মালিকরা গ্রেপ্তার হন না। কিন্তু, এবার হোটেল মালিক গ্রেপ্তার হওয়ায় রহস্য আরও জটিল হয়েছে। নিউ দীঘায় দুই কামরার ওই হোটেল যেখানে রয়েছে সেখানে সিসিটিভি নেই। নিরাপত্তারক্ষীও নেই। তবে কি কেউ পিয়ালিকে এখানে থাকার জন্য বলেছিল। যাতে তার পিয়ালিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে সুবিধা হয়? হোটেলের লিজ মালিকও কি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত? তাছাড়া এই খুন শুধুমাত্র পরকীয়ার জন্য নাকি আরও গভীর কোনও রহস্য রয়েছে? সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিস।
কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই প্রসেনজিৎকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছিলাম। প্রসেনজিৎ ও কার্তিকের কথায় অনেক অসঙ্গতি থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিজিতের খোঁজেও জোরদার তল্লাশি চলছে। আমরা ধৃত দু’জনকে জেরা করে এবং অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করে রহস্যের কিনারা করার চেষ্টা করছি।