বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে নাদনঘাট, কালনা, মন্তেশ্বর এলাকার আদিবাসী যুবকদের রেলের সুপারভাইজার ও সুইপার পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা তোলে ওই দুই প্রতারক। সমুদ্রগড় রেল বাজার এলাকার একটি লজে অফিস খুলে বসেছিল মানিক। তার সহকারী তারক আদিবাসী যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসত। এমনকী রেলে চাকরি হয়ে গিয়েছে বলে ওই আদিবাসী যুবকদের তাদের অফিসে হাজিরা নেওয়া হতো। যদিও বেতন না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতারিত যুবকরা। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ প্রায় ৮০ জন আদিবাসী যুবক নাদনঘাট থানার সামনে জড়ো হয়ে হইচই শুরু করেন। তাঁরা পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গভীর রাতে পুলিস মানিক ও তারককে গ্রেপ্তার করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধৃতরা আদিবাসীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও চাকরির বেতন না পেয়ে প্রতারিতরা বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপরই তাঁরা থানার দ্বারস্থ হন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক নবদ্বীপ পুরসভায় ঠিকাদারের কাজ করে। এলাকার আদিবাসীদের রেলে চাকরি করে দেবে বলে সে প্রচার করে। তারক আদিবাসীদের পাড়ায় পাড়ায় রেলে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি প্রচার করেছিল। সুইপার নিয়োগে ১০ হাজার ও সুপারভাইজার পদের জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। যুবকদের বলা হয় এই চাকরির ক্ষেত্রে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। ওই যুবকদের সমুদ্রগড় রেল প্ল্যাটফর্মে এনে হাজিরাও নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। পরে তারা ওই লজের অফিসে বসে সময় কাটাত।