পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, রাসে কার্নিভালকে সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে নবদ্বীপ পুরসভা, পুলিস-প্রশাসন সকলেই ছিল সচেষ্ট। উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা সহ প্রশাসনের বিশিষ্টজনেরা।
এবার রাস কার্নিভালে বড়ালঘাটের ধামেশ্বর মহাপ্রভু, বড়ালঘাট স্পোর্টিং ক্লাবের ভুবনেশ্বরী মাতা, প্রাচীন মায়াপুর যুবদলের মহিষমর্দিনী মাতা, হরিসভাপাড়া নবীন সঙ্ঘের হরগৌরী মাতা, রানিরঘাটের মহিষমর্দিনী মাতা, নেতাজি সুভাষ রোডের গঙ্গা মাতা, প্রাচীনমায়াপুর শিব পুজো, বৈদিকপাড়া গোল্ডেন স্টার ক্লাবের মহিরাবন বধ, রাধবাজারের মহিষাসুর বধ, দেয়ারাপাড়া ঘাট রোডের গণেশ পুজো, তেঘড়িপাড়া আপনজন ক্লাবের নবদুর্গা, সরকারপাড়া নিশান ক্লাবের নটরাজ ও মণিপুর রোডের তোতাপুরী কালী সহ মোট ১৩টি বারোয়ারি অংশগ্রহণ করে।
কার্নিভালে প্রথমে প্রবেশ করে বড়ালঘাটের ধামেশ্বর মহাপ্রভু। সঙ্গে ছিল দুটি কীর্তনের দল, বৃন্দাবনী নৃত্য, মহিলা ঢাকি, বিদ্যাসাগরের জন্মের ১৫০বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদ্যাসাগরের ট্যাবলো ও সমাজ সচেতনতা মূলক ট্যাবলো জল বাঁচান, জল ধরো জল ভরো প্রকল্প।
বড়ালঘাট স্পোর্টিং ক্লাবের ভুবনেশ্বরী মাতার শোভাযাত্রায় ছিল কীর্তনের দল, মহিলা ঢাকিদের দল, প্রজাপতি নৃত্য। পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক ট্যাবলোর মধ্যে মৌমাছি, হাঁস, মশক নিধনের জন্য ব্যাঙ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বোঝাতে সিংহ প্রমুখ ছিল।
প্রাচীন মায়াপুর শিব পুজো কমিটির শিবপুজোর কার্নিভালের থিম ছিল ‘শাক্ত-বৈষ্ণব-শৈবের মহামিলন নবদ্বীপ। সেই হিসেবে ট্যাবলোয় ছিল মহাপ্রভু ভজনে বৈষ্ণবরা, শিবের আরাধনায় ভক্তরা, শক্তি আরাধনায় আগমবাগীশ। এছাড়া পরিবেশ সচেতনতায় প্লাস্টিক বর্জনের পাশাপাশি রাজস্থানী নৃত্য, বৃন্দাবনী নৃত্য, মহিলা ঢাক, ড্রাগন।
প্রাচীনমায়াপুর যুবদলের মহিষমর্দিনী মাতার শোভাযাত্রায় ছিল ২৬টি ঢাক, কলকাতার নামি ক্লাব ব্যান্ড, ইংলিশ ব্যান্ড পার্টি, মহাপ্রভু সহযোগে কীর্তন, মহাপ্রভুর জগাই-মাধাই উদ্ধারের দৃশ্য, রাজস্থানী, মণিপুরী, রানারের নৃত্যের দৃশ্যের সঙ্গে চন্দননগরের জমকালো আলো। এদিন বাড়ির ছাদ, বারান্দার, দোকানের চাতাল, শোভাযাত্রার চক্রপথে কোথাও তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোলকুমার ঘোষ বলেন, কার্নিভাল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে চক্রপথে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সিভিল পোশাকেও পুলিসি নজরদারি চলেছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানের নজরদারি চালানো হয়েছে।
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, নবদ্বীপের রাস উৎসবে রাসের পুজো থেকে তৃতীয় বর্ষ রাস কার্নিভাল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকলকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। রাসের কার্নিভাল দেখতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক লক্ষ মানুষ চক্রপথে ভিড় জমিয়েছিলেন। নাগরিক পরিষেবা দিতে নবদ্বীপ পুরসভা সবরকম ব্যবস্থা করেছিল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার যথাক্রমে এক লক্ষ টাকা, ৫০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা ছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বারোয়ারি ১০ হাজার টাকা করে সাম্মানিক পুরস্কার পাবে।