বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তের জন্য নাদনঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে কেস রুজু হয়েছে। তবে, অভিযুক্তদের কেউই ধরা পড়েনি। গ্রেপ্তার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান চন্দন বসাক। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি ছিল। এদিন অবশ্য শুনানি হয়নি। ২২ নভেম্বর আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। নাদনঘাট থানার এক অফিসার বলেন, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আদালতে গোবিন্দবাবু জানিয়েছেন, হাওড়া-কাটোয়া রেলপথে হকারি করেন তিনি। তাঁর টিনের চালার ঘর। ২০১৮সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেতে তিনি পঞ্চায়েতে আবেদন করেন। পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে ব্যাঙ্কের পাশবই, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ডের জেরক্স কপি জমা দিতে বলা হয়। তা তিনি জমা দেন। যদিও তাঁর ঘর হয়নি। তাঁর অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা জমাও পড়েনি। কয়েকমাস আগে পূর্বস্থলী-১ বিডিও অফিসের কয়েকজন কর্মী এলাকায় সার্ভে করতে আসেন। আবাস যোজনায় কেন ঘর তৈরি হয়নি তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া টাকা পঞ্চায়েতে পড়ে রয়েছে বলে জানানো হয় তাঁকে। এরপর তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যান। সেখান থেকে তাঁকে কার্যত বের করে দেওয়া হয়। তিনি ঘর পেয়ে গিয়েছেন বলে জানানো হয়। এনিয়ে লোক জানাজানি না করার জন্য বলা হয় তাঁকে। এরপর তিনি বিডিও অফিসে যান। সেখান থেকে আবাস যোজনা উপভোক্তাদের তালিকার ফটোকপি জোগাড় করেন। তাতে তাঁর নাম রয়েছে বলে দেখতে পান তিনি। বিডিও অফিস থেকে ঘর না পাওয়ার বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে অভিযোগের সারবত্তা পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে পঞ্চায়েতের কাছে তথ্য চায় পুলিস। তাতে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছে, এলাকায় আরও দু’জন গোবিন্দ দাস রয়েছেন। ভুল করে অভিযোগকারীর নাম উপভোক্তাদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বলে পঞ্চায়েতের দেওয়া রিপোর্টে পুলিসকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে অভিযোগকারী যাতে সরকারি প্রকল্পে ঘর পায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে।