বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ১০৫১ বঙ্গাব্দে ব্রজরাজপুর গ্রামের রাস উৎসবের সূচনা হয়েছিল। সুদূর বৃন্দাবন থেকে সেখানকার মন্দিরের বিগ্রহগুলি আনা হয়েছে। মঙ্গমবার ও বুধবার ধরে চলা এখানকার রাস উৎসবে এবারও প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। সন্ধ্যা হতেই মূল মন্দির থেকে মন্দিরের পশ্চিম দিকের রাসমঞ্চে শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে চলতে থাকে কীর্তন গান। এখানকার রাস উৎসবে শুধুমাত্র ব্রজরাজপুর গ্রামের মানুষজনই নয়, পাশাপাশি তেঁতুলিয়া, বৃন্দাবনপুর, গোলকপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষজন ভিড় জমিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, নিমডিহায় তিনদিনের রাস উৎসবে মেতে উঠেছেন গ্রামের মানুষজন। সোমবার থেকে রাস উৎসব শুরু হয়ে বুধবার শেষ হয়েছে। নিমডিহা গ্রামের বাসিন্দা তাপস পাত্র বলেন, রাস উপলক্ষে গোটা গ্রামজুড়েই উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তালডাংরার পড়ারডাঙা গ্রামের রাস উৎসব পাঁচদিনের। সোমবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪০০বছর আগে কৃষ্ণচন্দ্র পাইন ওড়িশা থেকে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ ওই গ্রামে নিয়ে আসেন। তারপর মন্দির করা হয়। সেই সময় থেকেই গ্রামে রাস উৎসব হয়ে আসছে। ওই গ্রাম ছাড়াও ব্রাহ্মণডিহা, কররামপুর, নতুনগ্রাম সহ পাশাপাশি গ্রামের মানুষজন তো বটেই, তাছাড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও এখানে রাস দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন বলে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। রাস উপলক্ষে ব্রজরাজপুর, নিমডিহা ও পড়ারডাঙায় মেলার আয়োজন করা হয়।
পড়ারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পঙ্কজ পাইন বলেন, পাশাপাশি গ্রামগুলিতে রাস উৎসব নেই। তাই আমাদের গ্রামের পাঁচদিনের রাস উৎসব মানেই একটা সাজসাজ রব। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।