পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ অক্টোবর তাদের কাছে খবর আসে সাইবার ক্রাইমের একটি চক্র এলাকায় সক্রিয় হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পুলিস সেদিন চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সাইবার ক্রাইমের ওসি অসীম সরকারকে। পুলিস তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায়। তারা জানতে পারে এই চক্রের জাল দিল্লি, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। এই চক্রে জড়িত রয়েছে মহিলারাও।
সাইবার ক্রাইম থানার অফিসার ছাড়াও অন্যান্য পুলিস অফিসার তদন্তে যোগ দেন। এরপরেই ঘটনার মূল চক্রী পুনিত কুমার ও রহিতাশ বেওয়ারার নাম উঠে আসে। যারা একসময়ে পিএনবির কল সেন্টারে কাজ করত। পুলিস জানতে পারে, তারাই সেখান থেকে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে চক্রের বাকি সদস্যদের দিয়ে টাকা জালিয়াতির কাজটি করাত। এই চক্রের অন্যতম মাথা হিসাবে কাজ করত পাটনার রাজারাম ও দুর্গাপুরের সঞ্জয় কুমার। পুলিস যখন জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে তখন এই চক্রের বিরুদ্ধে আরও তিনটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাদের মধ্যে একটি ভিন রাজ্যের। কমিশনারেটের পুলিস ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে তিন পাণ্ডাকেই গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। গ্রেপ্তার হয় দুর্গাপুরের সঞ্জয় কুমারও। এর পাশাপাশি নিয়ামত পুরের আর্জি গুপ্তাকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তার মধ্যে আটজন পুলিস হেফাজতে রয়েছে। বুধবার পুলিস কমিশনার অফিসের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ ঢাকা অবস্থায় ওই আটজনকে হাজির করা হয়। এডিসিপি(সেন্ট্রাল) সায়ক দাস, দুই এসিপি স্বপন দত্ত ও সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি জানান।
তবে এই চক্র ফের ব্যাঙ্কের তথ্য ভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। তবে পুলিসের দাবি, কোন মতেই নিজের এটিএম কার্ডের সিভিভি নম্বর বা ওটিপি কাউকে না দিলে জালিয়াতি করা সহজ নয়। তারাই বেশি জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন যারা এই দুটি তথ্য অপরকে সরবরাহ করছেন।