বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, পিয়ালি ছেলেকে নিয়ে নয়, তাদের সঙ্গে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি এসেছিল। কিন্তু সঙ্গে এলেও সে বাইরে কোথাও ছিল। পুলিসের আরও অনুমান, সেই ব্যক্তি রাতে আসে এবং পিয়ালি তাকে দরজা খুলে দেয়। সম্ভবত দেবজ্যোতি ঘুমিয়ে পড়ার পরই এই ঘটনাটি ঘটে। যদি খুন হয়েও থাকে, কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে অপরাধী হোটেলের রুমে ঢুকল এবং বের হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হোটেলের মালিক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
হোটেল, পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এক হোটেলকর্মী ঘর পরিষ্কার করার জন্য রুমের সামনে এসে দরজায় টোকা দেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। তিনি দেখেন, দরজা ভেজানো রয়েছে। দরজায় ঠেলা দিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি দিতেই তিনি দেখেন, মা সিলিং ফ্যানে ঝুলছেন। অন্যদিকে, ছেলে মোবাইলে গেম খেলছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দীঘা থানার পুলিস এবং দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তকারী এক পুলিস অফিসার বলেন, ঘটনাটি যে আত্মহত্যা নয়, খুন, এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। হাত বেঁধে কেউ গলায় ওড়নার ফাঁস নিতে পারে না। তাছাড়া দরজাও ভেজানো ছিল। অর্থাৎ, এখানে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলই। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, এটি খুনের ঘটনা বলে ধরে নিয়ে আমরা জোরদার তদন্ত শুরু করেছি। তবে আত্মহত্যাও হতে পারে। আমরা ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।