রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের। কয়েকদিন আগেই বোলপুরের এক বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁর পরিবারের লোকজন দাবি করেছিলেন বৃদ্ধা বেঁচে রয়েছেন। কিন্তু, চিকিৎসক ঠিকভাবে পরীক্ষা না করেই তাঁকে মৃত বলে জানান। তারপর অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর গায়ে ছ্যাঁকা লেগে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তারপর ফের বুধবার শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তাঁতিজোল গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরী মাড্ডি দুপুরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের দিকে। প্রসূতিকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। যার ফলে ওই প্রসূতির মুখ চোখ ফুলে যায়। সেই বিষয়ে জানতে পেরে প্রসূতির পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা অভিযুক্ত নার্সদের শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমা হাসপাতাল এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যার জেরে খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিসকে। পুলিসের সামনেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরে পুলিস প্রসূতির পরিবারের লোকজনকে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। রোগীর পরিবার অভিযুক্ত নার্সদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছে।
পরিস্থিতি তখনকার মতো শান্ত হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওই প্রসূতির গ্রাম থেকে বহু আদিবাসী এসে অভিযুক্ত নার্সদের তাঁদের সামনে নিয়ে আসা হোক বলে দাবি করতে থাকেন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ না করায় তাঁরা লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে চড়াও হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের ভিতরেও প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বোলপুর এবং শান্তিনিকেতন থানা থেকে প্রচুর পরিমাণে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সুন্দরী মাড্ডির স্বামী সোম মাড্ডি বলেন, এদিন আমার স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। নার্স যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রথম থেকে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে। আমরা অভিযুক্ত নার্সদের শাস্তি চাই।
প্রসূতিকে মারধরের ঘটনায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তীর্থঙ্কর চন্দ্র বলেন, হাসপাতলে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে শুনেছি। তবে, এই বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ ওই পরিবারের তরফে পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।