কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দ্বারকা নদের পাড়ে ব্যস্ততম এলাকা মুণ্ডমালিনীতলা। রয়েছে একাধিক লজ। বহু পুণ্যার্থী তারামায়ের কাছে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি দর্শনের জন্য মুণ্ডমালিনীতলায় আসেন। বর্তমানে লকিং ব্রিক্স বসিয়ে এখানকার সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। ফলে, ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। এই মুণ্ডমালিনীতলা ঢোকার মুখে গেটের পাশে আকাশের নীচে জরাজীর্ণ শরীরে এক প্রৌঢ়া পড়ে রইলেও কেউই তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক ধরে ওই প্রৌঢ়া পড়ে রয়েছেন। অর্ধনগ্ন থাকায় কোনও পুণ্যার্থী তাঁকে পোশাক কিনে দিয়েছেন। ভক্তদের কাছ থেকে চেয়েচিন্তে খেতে দেখেছেন এলাকার মানুষ। বর্তমানে তিনি এতটাই অসুস্থ যে বসে থাকা বা কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। সর্বদা গেটের পাশে শুয়ে থাকছেন। কেউ কিছু দিলেও মুখে তুলছেন না। মাছি ও মশা তাঁকে ছেঁকে ধরেছে। এদিন অনেক জিজ্ঞাসা করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শুধুই তাকাচ্ছেন আর চোখের পলক ফেলছেন। দেখে মনে হচ্ছে তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন।
এলাকার বাসিন্দা পেশায় রামপুরহাট আদালতের আইনজীবী উত্তীয় মুখোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবারই ওই প্রৌঢ়াকে জরাজীর্ণ শরীরে পড়ে থাকতে দেখে পুলিসকে ফোন করে জানাই। কিন্তু, দেখছি পুলিস এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। ফলে, আকাশের নীচেই পড়ে রয়েছেন তিনি।
এমনিতেই জেলার তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ কমছে। রাতের দিকে ভালো ঠান্ডা পড়ছে। তার উপরে নদের পাশে এভাবে আকাশের নীচে পড়ে থাকলে ওই প্রৌঢ়া মারা যাবেন জেনেও স্থানীয় বা পুণ্যার্থীদের কাউকেই এগিয়ে আসতে দেখা গেল না।
এক পুণ্যার্থী বলেন, উনি এভাবে পড়ে থাকলে মারা যাবেন। কিন্তু, আমরা বাইরে থেকে এসেছি। যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান, তাহলে আইনি ঝামেলায় পড়ব। কলকাতা থেকে আসা আর এক পুণ্যার্থী বলেন, দেখে মনে হচ্ছেন উনি ভালো ঘরের। স্থানীয়দের উচিত তাঁকে উদ্ধার করে অন্ততপক্ষে কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, আইনের মারপ্যাঁচের জন্য হয়তো পুণ্যার্থীরা এগিয়ে আসছেন না। তবে, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার সহায়তা করা হবে। যদিও তারাপীঠ থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত বলেন, আমাকে কেউ জানাননি। আমি এখনই ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।