রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কাঁথি মহকুমার সবচেয়ে প্রাচীন রাস উৎসব হল দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়ার দাস অধিকারী পরিবার পরিচালিত ঠাকুরবাড়ির রাস উৎসব। এই উৎসব এবার ২১৫তম বছরে পা দিল। ওড়িশার ব্রাহ্মণ কৃপানিধি দেবগোস্বামীর হাত ধরে রাস উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এই রাস উৎসবের অনেক ইতিহাস রয়েছে। কালক্রমে দেবগোস্বামী থেকে দাস অধিকারী পদবি লাভ করেছেন এই পরিবারের সদস্যরা। ছ’দিন ধরে মূল মন্দির থেকে অষ্টসখী সহ রাসমঞ্চে অবস্থান করেন গোকুলচন্দ্রদেব। প্রতিদিনই কীর্তন, ভাগবত পাঠ, অন্নকূট যাত্রানুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। দেশপ্রাণ ব্লকেরই মুণ্ডপাড়া গ্রামে প্রাচীন রাস উৎসব মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। এক সন্ন্যাসীর হাত ধরে শুরু হয় এই রাস উৎসব। উৎসব উপলক্ষে টানা ২০দিন ধরে মেলা ও নানা অনুষ্ঠান চলে।
কাঁথির নাচিন্দা শীতলা ও চণ্ডীঠাকুরানির মন্দির প্রাঙ্গণে ছ’দিন ব্যাপী রাস উৎসব সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন রাতে ৪০তম বর্ষের এই রাস উৎসবের সূচনা হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক অনিল মান্না বলেন, আগামী ১৭নভেম্বর পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আবার কাঁথি শহরের মনোহরচক এলাকায় রাস উৎসব ৯০বছর অতিক্রম করেছে। নানা অনুষ্ঠান ও আলোকমালায় সজ্জিত মনোহরচকের রাস উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা।
এগরা মহকুমার সবচেয়ে বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব পটাশপুরের পঁচেটগড়ের রাস উৎসব। এই উৎসব পাঁচ শতাধিক বছরের প্রাচীন। দাস মহাপাত্র পরিবারের এই রাস উৎসব পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় উৎসব। এই রাস উৎসবের নেপথ্যে নানা ইতিহাস রয়েছে। শুধু তাই নয়, পঁচেটগড়ের রাজবাড়ি গতবছর হেরিটেজ কমিশনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। রাস উৎসব উপলক্ষে ১৫দিন ধরে মেলা বসে। অন্যদিকে, পটাশপুরের জবদা গ্রামে সর্বজনীন রাস উৎসব কমিটির পরিচালনায় এদিন রাস উৎসবের সূচনা হল। উৎসব উপলক্ষে ১০দিনের মেলা বসেছে।
পটাশপুরেরই তারট গ্রামে গোস্বামী পরিবারের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিবারের সদস্য অমল গোস্বামী বলেন, আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে পুরী থেকে আসা মাধবানন্দ ব্রহ্মচারীর হাত ধরে এলাকায় রাস উৎসব শুরু হয়। মাধবানন্দ ব্রহ্মচারী পরবর্তীকালে গৃহী হন। তিনি গোস্বামী পদবি গ্রহণ করেন। সেই গোস্বামী পরিবারই বংশানুক্রমিকভাবে রাস উৎসবের আয়োজন করে আসছে। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে বড় মেলা বসে। পারিবারিক গণ্ডি অতিক্রম করে ক্রমশ সর্বজনীন রূপ পেয়েছে এই রাস উৎসব। এগরার নেগুয়া জনসেবক সঙ্ঘের পরিচালনায় ৮৭তম বছরের রাস উৎসব শুরু হয়েছে। রাস উৎসব উপলক্ষে ছ’দিনের মেলা বসে। এছাড়াও এগরার আলংগিরির প্রাচীন রাস উৎসব এবং এগরার অঁলুয়া জেড়থানের রাস উৎসব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।