পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিডিও পরবর্তী বৈঠকের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করার কথা বললেও কৃষিজমি রক্ষা কমিটি তা জানে না বলে দাবি করেছে। এব্যাপারে লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন, সোমবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ডিভিসির তরফে বৈঠক বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকের দিন এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। কেন এই বৈঠক বাতিল হল তাও বুঝতে পারছি না। তবে, বাতিলের জেরে চাষিরা আশাহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত আজ, বুধবার লোবা গ্রামে কয়লাক্ষেত্র গড়ার লক্ষ্যে গ্রামবাসীর সঙ্গে জমির দাম নির্ধারণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লোবার গ্রামবাসী ও স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই বৈঠক করার কথা ছিল। কিছুদিন আগেই ডিভিসির তরফে বীরভূমের জেলাশাসককে এব্যাপারে জানানো হয়। এমনকী, ডিভিসি ওই বৈঠকে দুবরাজপুরের বিডিও, ওসি ও ভূমি দপ্তরের আধিকারিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধানকে উপস্থিত থাকার জন্য জেলাশাসকের কাছে আর্জি জানায়। সেই আর্জিমতো বীরভূম জেলা প্রশাসন বৈঠকে প্রতিনিধি হিসেবে দুবরাজপুরের আধিকারিকদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, তারই মাঝে হঠাৎ করে বৈঠক বাতিল নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিউড়িতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষিজমি রক্ষা কমিটি ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসন প্যাকেজ পেশ করে। তাতে পাঁচ ধরনের ক্যাটাগরির বাড়ি, সহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, আলো, স্কুল প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে পুনর্বাসন প্যাকেজ দেখানো হয়। যদিও ওই প্যাকেজ নিয়ে চাষিদের মধ্যে অসেন্তাষ দেখা যায়। তাছাড়া ওই বৈঠকে জমির দাম নিয়েও সরকারিভাবে কোনও কথা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ডিভিসির তরফে একর প্রতি ১৪লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে কৃষিজমি রক্ষা কমিটি প্রাথমিকভাবে জানতে পারে। সেই দাম নিয়ে অবশ্য কমিটির তরফে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তার জেরে জেলা প্রশাসন ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে গ্রামে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জমির দাম নির্ধারণ সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেয়।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতো আজ, বুধবার ডিভিসি বৈঠক করার কথা চিঠি দিয়ে জানালেও অবশেষে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এরফলে সব মহলেই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। লোবায় উন্নতমানের কয়লাখনি করতে উদ্যোগ গ্রহণ হলেও এখনও নানা জটিলতায় তা আটকে যাচ্ছে। তার ফলে চাষিদের মধ্যে হতাশা এসেছে। সূত্রের দাবি, লোবায় কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার জন্য জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষিজমি রক্ষা কমিটি বৈঠকের কথা ‘ধর্নামঞ্চে’ করা হোক বলে দাবি তোলে। যদিও সেখানে আদৌ বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের একটি সূত্রের তরফে আভাস দেওয়া হয়েছে, চাষিদের দাবি মেনে ওই স্থানেই বৈঠক হতে পারে। তা অবশ্য এখন আলোচনা করা হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক বলেন, আমাদের ধর্নামঞ্চে ডিভিসির সঙ্গে জমি নিয়ে কথা হোক সেটা এলাকার সমস্ত চাষিই চান।
বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, গত ৮ নভেম্বর ডিভিসির তরফে বৈঠকের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। আজ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও মাঝে কয়েকদিন সরকারি ছুটি ছিল। তাই বৈঠকের খবর লোবার চাষিদের অনেকের কাছে যদি না পৌঁছয় তাহলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। সেই কথা ভেবেই দুবরাজপুরের ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তা পিছিয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর ফের ওই বৈঠক হতে চলেছে।