বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দুবাবু পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কী কথা আদান প্রদান করছেন, কী নির্দেশ দিচ্ছেন সবই বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। এমনকী বিজেপির কাছেও চলে যাচ্ছে। তাই তাঁরই নির্দেশে এদিন জেলা সভাপতি এই জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে আবার দলের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশও করেন। বৈঠকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপি প্রার্থীকে সমাজবিরোধী বলে প্রচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে নানা কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। তার মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর শহর ও লাগোয়া এলাকা থেকে ৫০জন বাছাই করা নেতাদের ৩৫টি ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক করা। তাঁদের সঙ্গে নিজের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও তৈরি করেছেন। সেখানে নানা কথা আদান-প্রদান হয়। এলাকার পরিস্থিতিও তিনি জানতে পারেন। আবার কিছু নির্দেশ থাকলে তাও এই গ্রুপে দিয়ে দেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, সবই বাইরে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। ঘরের কথা চলে যাচ্ছে শত্রু বিজেপির ঘরেও। এরপরই তিনি এই গ্রুপ বন্ধ করে দেন। ঠিক করেন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আর বৈঠকও করবেন না। এদিন বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের টিম লিডার স্নেহাশিস ভৌমিক জানিয়ে দেন, আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ডেবরায় বৈঠক করা হবে।
অজিতবাবু অবশ্য বলেন, সেরকম কিছু না। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপটা কৌশলগতভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডেবরায় পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আমরাই বৈঠক করব। সেখানে শুভেন্দুবাবু থাকবেন না। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আর কোনও বৈঠক হবে না। তাঁদের ওয়ার্ডে প্রচার সহ অন্যান্য কাজ করতে বলা হয়েছে। আমরা এদিন পর্যবেক্ষক ও কাউন্সিলারদের বৈঠক ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করি। বৈঠকে আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের কাছে দলের কথা আপনারা কেউ বলবেন না। যা বলার নেতৃত্ব বলবে।
জেলা সভাপতি বলেন, ঠিক হয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে চাটাই-বৈঠক শেষ করতে হবে। কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। ১৪ ও ১৭ তারিখ শুভেন্দুবাবুর কর্মসূচি আছে। তারপর মিছিল, পথসভা শুরু করে দিতে হবে। তিনি বলেন, বিজেপি সহ বিভিন্ন দল থেকে অনেকে আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের উদ্যোগে নিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা বিজেপি প্রার্থীকে ‘সমাজবিরোধী প্রার্থী’ বলে প্রচার করব। মানুষের কছে গিয়ে এই প্রার্থী সম্পর্কে বলতে হবে।
বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, কারা সমাজবিরোধী দিয়ে আমাদের কাউন্সিলারদের ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে পুরবোর্ড দখল করেছিল, কাদের সঙ্গে সমাজাবিরোধীরা আছে, কারা এই শহরে মাফিয়ারাজ কায়েম করেছিল, খড়্গপুরের মানুষ তা জানেন। ভোটে তাঁরা তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন।
এদিকে এদিন বৈঠকে তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খড়্গপুরকে ঢাল করে জেলাকে বাঁচাবার চেষ্টা হচ্ছে। খড়্গপুর তো হারা আসন। কিন্তু যেখানে দল জিতেছিল, সেখানে কেন বিজেপি জিতল, তা কেউ বলছেন না। এব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, দলের বৈঠকে বলেছি। এনিয়ে বাইরে কিছু বলব না।