বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দীঘা থেকে শঙ্করপুরের একটা অংশ পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল বরাবর কংক্রিট দিয়ে বাঁধানোর কাজ হলেও শঙ্করপুর থেকে তাজপুর, জলধা এলাকা পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল বরাবর কংক্রিট বাঁধানোর কাজ হয়নি। এর ফলে জলোচ্ছ্বাসের সময় দুর্বল বাঁধ ভেঙে আশপাশের গ্রামে জল ঢুকে যায়। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। সমস্যায় জর্জরিত হন মানুষজন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্র উপকূল বরাবর বাঁধানোর কাজ তাজপুরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন রেখেছিলেন। এদিন শুভেন্দুবাবু সেই এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবি মেনে দ্রুত বাঁধানোর কাজ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এজন্য ৮১কোটি টাকা খরচ হবে। সেচদপ্তর দ্রুত বিভাগীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করবে।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উপকূল বরাবর ২.৮কিলোমিটার জায়গা বাঁধানোর জন্য দপ্তর থেকে দ্রুত একটি অর্ডার বের হবে। তারপর টেন্ডার ডাকা হবে। সব মিলিয়ে ৮১কোটি টাকা খরচ হবে। ওই টাকা দ্রুত চলে আসবে বলে সেচদপ্তরের কাঁথির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান। এর ফলে জলোচ্ছ্বাসের সময় জামড়া, শ্যামপুর, চাঁদপুর ও জলধার মানুষজনকে আর আতঙ্কে থাকতে হবে না। স্থানীয় মানুষজন অনেকটা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।
শনিবার রাতে বুলবুল ঝড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, ১১ হাজার ৪১৬টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫৮৫কোটি টাকা। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেটুরিয়ায় সুলতা দাস নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর রবিবার সকালেই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম ও খেজুরির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে নামেন। খেজুরির নীচকসবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দাঁড়িয়ে দুর্বল বাঁধ মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেন। মানুষজন নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
এদিনও শুভেন্দুবাবু জনপ্রতিনিধি এবং সেচদপ্তরের অফিসারদের নিয়ে শঙ্করপুর থেকে পায়ে হেঁটে জলধা পর্যন্ত যান। ওই রাস্তার মাঝে বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় মানুষজন বিশেষ করে মহিলারা মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। স্থানীয় এলাকায় সমস্যা মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের আবেদন অনুযায়ী দ্রুত সমুদ্র উপকূল বরাবর পাড় বাঁধানো হবে বলে জানান।
বুলবুলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মাথার উপর ছাউনি হারিয়ে বহু মানুষ খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন। রবিবার পর্যন্ত জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে ১৬হাজার ৬০০ত্রিপল সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত বিলির কাজ চলছে। এই অবস্থায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। বিপদে মানুষের পাশে থেকে তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন। নিজেও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন।