গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
খণ্ডঘোষের এই ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত। শহিদ ভগৎ সিং-এর সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন করেছেন। এমনকী, ভগৎ সিংকে নিয়ে তিনি খণ্ডঘোষের এই ওঁয়াড়ি গ্রামে আত্মগোপনও করেছিলেন। সেই পাতালঘর এখনও বর্তমান। ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১০ সালে বিপ্লবী বটুবেশ্বর দত্তের ১০০তম জন্মদিবস পালিত হয়েছিল। ওই ২০১০ সাল থেকেই ওঁয়াড়ি গ্রামে তিনদিন ধরে তাঁর জন্মদিবস পালিত হয়ে আসছে। ধুমধাম সহকারে পালিত হতো। মেলা বসত। নানা আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। কিন্তু, এবার আর্থিক সঙ্কটের জেরে সেই জন্মদিবস পালনেই ভাঁটা পড়েছে। ‘বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর সম্পাদক মধুসূদন চন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিষ্কার লিখেছেন, ‘আর্থিক সঙ্কটের কারণে তিনদিনের ইতিহাস মেলার অনুষ্ঠান সঙ্কোচন। একদিন সারাদিন ব্যাপী জন্ম উৎসব। বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত’র জন্মদিনে’।
ট্রাস্ট’-এর সম্পাদক মধুসূদন চন্দ্র বলেন, বটুকেশ্বর দত্ত’র মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী আমাদের সবার গর্ব। কিন্তু, তাঁর জন্মদিবস ও ইতিহাস মেলার জন্য এখনও কোনও অনুদান পাইনি। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন করেছি। তিনি বলেন, এখন সব জায়গাতেই খুব আর্থিক সঙ্কট চলছে। তাই কারও কাছে অনুদানও চাইতে পারব না। বাধ্য হয়েই আমরা তিনদিনের বদলে এবার একদিনই জন্মদিবস পালন করবো। ২০১০ সাল থেকে তিনদিনের জন্মদিবস এবং ইতিহাস মেলা হয়ে আসছে। গতবারও ধুমধাম করে হয়েছে। এবারই একদিন হবে। আমরা একদিনের জন্যই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দা বলেন, জন্মদিবস ও ইতিহাস মেলার জন্য ওনারা আমাদের কাছে অনুদানের আবেদন করেছেন। আমরা ওই আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুদান এলে ওনারা নিশ্চয়ই পাবেন।