নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন শেখ(৩৫)। পরিবারের দাবি, সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানো সত্ত্বেও চিকিৎসক বলেন কোনও সমস্যা নেই। ফলে, বৃহস্পতিবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়।
এদিন ফের ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুর ১২টা ৫মিনিট নাগাদ ফের তাঁকে হাসপাতালের মেল মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। ২টো ৪২মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সময় মৃতের কাছে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসেন মৃতের শ্যালক জামফল শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা। তাঁরা ওয়ার্ডে এসে এক চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। নার্সদের টেবিলে স্কেল জাতীয় জিনিস দিয়ে জোরে জোরে মারতে থাকে। পরে তাঁরা খাতাপত্র ছিঁড়ে টেবিল উল্টে দেন। জামফল বলেন, জামাইবাবুর শরীরে যদি কোনও অসুখই না থাকবে তাহলে মারা গেল কেন। প্রথম দিন ভর্তি করার পর কেন কোনও অসুখ নেই বলে ছুটি দেওয়া হল। ওইদিন যদি চিকিৎসা করা হতো, তাহলে জামাইবাবু মারা যেতেন না। তাঁর দাবি, চিকিৎসার গাফিলতিতেই জামাইবাবুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির সময় ইমার্জেন্সিতে ছিলেন ডাঃ সঞ্জীব সিমলান্ধি ও সমীর সিং। যদিও ডাঃ সঞ্জীব সিমলান্ধী বলেন, ১২টার সময় আমি চলে এসেছিলাম। ফলে, টিকিট না দেখে কিছুই বলতে পারব না। ডাঃ সমীর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ সুজয় মিস্ত্রি বলেন, মৃতের পরিবারের কোনও অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে পারত। এভাবে চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা ও ভাঙচুর চালানো ঠিক হয়নি। মৃতের এক আত্মীয়কে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।