বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
১৯৯৯ সালে তেহট্টে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করে জিতপুর মোড়ের সেমনেন্স বয়েজ। তাঁরাই প্রথম বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করে। সেই সময় তেহট্টে এই একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা দেখার জন্য মানুষ রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপরে ২০০০ সালে দত্তপাড়া পুজো শুরু করে। বিসর্জনের শোভাযাত্রাও বের করে তারা। এরপরে ২০০৫ সালের পর অনেকগুলি পুজো শুরু হয়। তারপর থেকে তেহট্টে বিসর্জনের শোভাযাত্রাই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়।
এদিন তেহট্ট হাইস্কুল পাড়ার শোভাযাত্রায় যেমন ছিল সাঁওতালি নৃত্য, তেমন ছিল জল সংরক্ষণের বার্তা। জিতপুর মোড় সেমনেন্স বয়েজের শোভাযাত্রায় নানা ধরনের সমাজ সচেতনমূলক ট্যাবলো ও মানব স্ট্যাচু দেখা যায়। বর্গীডাঙা যুব সংঘের শোভাযাত্রায় ছিল আদিবাসী নাচের সাথে নানা ধরনের বাজনা। এছাড়া দত্তপাড়া, মন্দিরপাড়া, খাসপুর, লাইব্রেরি পাড়া, বাইতি পাড়া নতুন পাড়া, ক্লাব ঐক্যতান সহ সব পুজো কমিটিই নানা ট্যাবলো নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে কোনওরকম অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এদিন পুলিস চারটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চারটি ওয়াচ টাওয়ার করেছিল। প্রতিটি শোভাযাত্রার সঙ্গে ছিল পুলিস। পুলিসের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার ভিডিও করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাউলিয়া পার্ক মোড়ে একটি টেন্ট করা হয়। সমস্ত প্রতিমা শোভাযাত্রার শেষে জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন হয়। সেখানে কোনও অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নদীর তীরে একটি টেন্ট করা হয়। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কয়েকজন লোকও রাখা হয়েছিল। নদীতে যাতে ফুল, বেলপাতা ও প্রতিমার অস্ত্র না ফেলা হয়, তার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এসব ফেলার একটি নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছিল।