ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা দত্ত বলেন, এখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমানভাবে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে। এবার মাঠ তৈরি হয়ে যাওয়ায় বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের এই এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধুলোর মান আরও বাড়বে।
উপপ্রধান যুগল হাঁসদা বলেন, মাঠটিকে সমতল করে খেলাধুলোর যোগ্য করা হয়েছে। তাছাড়া আগামী দিনে ওই মাঠে খেলাধুলোর সুবিধায় অন্য ধরনের ঘাস চাষ করা হবে। ঘাসের বীজ এসে গিয়েছে।
সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ওই মাঠটি তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া ওই মাঠটির তিনদিকে রয়েছে দর্শকদের বসার জন্য গ্যালারি। রয়েছে পানীয় জলের জন্য সাবমার্সিবল। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে খাবার জলের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। তাছাড়া গোটা মাঠটিকে নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই মাঠটির উপর নির্ভর করে সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সারুলিয়া ছাড়াও চরণপাড়া, ডেবরডাঙা, তেঁতুলডাঙা, কয়মা, বামনীশোল সহ একাধিক গ্রামের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করে। এবার মাঠটি প্রাথমিক ভাবে তৈরি হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়রা অনেকেই অনুশীলন করার ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। তবে আগামীদিনে মাঠটিকে আরও অত্যাধুনিক ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও কিছু অনুদান পেলে মাঠটিকে সাজানোর ক্ষেত্রে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মাঠের বিভিন্ন দিকে বাতিস্তম্ভ লাগানো হবে। তাছাড়া গ্যালারিতে দর্শকদের আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অমর লোহার বলেন, এতদিন ছেলেমেয়েরা খুব কষ্ট করেই ওই মাঠে অনুশীলন করছিল। তাতে খেলাধুলোর মান কমে যাচ্ছিল। তাই আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে মাঠটিকে প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছি। এরপর সরকারিভাবে আরও অনুদান পেলে মাঠটিকে আরও ভালোভাবে তৈরি করা যাবে।