ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত জল দেওয়া হলে বহু পড়ুয়া উপকৃত হবে। জেলার স্কুলগুলিতে নলকূপই ভরসা। অনেক সময় সেগুলি বিকল হয়ে যায়। তাছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা আর্সেনিক কবলিত। সেকারণে নলকূপের জল পান করতে অনেকে ভয় পায়। এমনকী ফরাক্কা, জলঙ্গি, ডোমকলের বেশ কিছু এলাকায় মিডডে মিলের জন্যও জল পেতে সমস্যা হয়। লালগোলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সকলেই উপকৃত হবেন। এই জেলার অধিকাংশ স্কুলেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে বোতলে জল আনতে হয়। গ্রীষ্মকালে সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার জেলা পরিষদে বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন তা নিয়ে সরব হয়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখায়। অতিরিক্ত জেলাশাসকের দপ্তরেও প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। তাদের অভিযোগ, বিগত বছরগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মান ভালো দেওয়া হয়নি। মহাসংঘগুলিকে দায়িত্ব না দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে পোশাক তৈরির দাবি জানানো হয়। সেকারণে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পোশাক দেওয়ার আগে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষরা এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা তা দেখবেন। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন, পোশাক বিতরণ নিয়ে কোনও অভিযোগ যাতে না ওঠে তারজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি দেখবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পোশাক ছাড়া জলের পাইপ লাইনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। তবে বহু স্কুলের পাশ দিয়ে পিএইচই’র পাইপ লাইন যায়নি। ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে নিয়ে পরে ভাবনা চিন্তা করা হবে। আগামী দিনে বাকি স্কুলগুলিকে যাতে অন্য প্রকল্পে পাইপ লাইন দেওয়া যায় তা নিয়েও আধিকারিকরা পরিকল্পনা করবেন। প্রসঙ্গত, নবগ্রাম এবং ফরাক্কা ব্লকে বিপুল টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার জল প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে জমিও চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। গঙ্গা থেকে জল জল তুলে তা পরিস্রুত করে ওই দু’টি ব্লকে সরবরাহ করা হবে। সেই কাজ শেষ হলে ওই সমস্ত এলাকার স্কুলগুলিতেও জলের পাইপ লাইন দেওয়ার জন্য পিএইচই’র কাছে আর্জি জানানো হবে বলে শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে।