ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নয়াগ্রামে নিগুই গ্রামে গভর্নমেন্ট মডেল স্কুল তৈরির জন্য ২০১১ সালে জানুয়ারি মাসে বাম আমলে প্রায় ২৮জন স্থানীয় বাসিন্দা জমি দান করেছিলেন। মোট ৪.৭৬ একর জমি দিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কুল চালু হয়। ২০১৪ সালে স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু হয়। প্রথমে ইংরেজি মাধ্যমে পঠান-পাঠন চালু হলেও পড়ুয়ার সঙ্কট দেখা দেওয়ায় দু’বছর আগে বাংলা মাধ্যম চালু হয়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ওই স্কুলে পড়ুয়া রয়েছে ১৬০জন। চলতি নভেম্বর মাস থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল চালু হয়েছে। বর্তমানে হস্টেলে মোট ৩০জন ছাত্র ও ৩০জন ছাত্রী রয়েছে। এজন্য হস্টেলে কেয়ারটেকার, মেট্রন, নাইটগার্ড, কুক, হেল্পার পদে স্থানীয় স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক ১০জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই জমিদাতারা জেলাশাসক, বিডিওকে এনিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। কিন্তু সমস্যা না মেটায় এদিন জমিদাতারা ১০টা নাগাদ স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যার ফলে কোনও পড়ুয়া ও শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারেননি। পরে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হলেও শিক্ষকদের আটকে রাখা হয়।
জমিদাতা বুদ্ধদেব মাহাত ও অবনীকুমার মাহাত বলেন, স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দান করেছিলাম। সেই সময় আধিকারিকরা কর্মসংস্থান হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, সরকার বদলের পর ওই স্কুলের সমস্ত কিছু থেকেই আমরা বঞ্চিত হয়ে গিয়েছি। এখন হস্টেলে বিভিন্ন পদে তৃণমূলের লোকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ জমিদাতাদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের সমস্ত মহলে জানানো হয়েছে।
এদিন ঘেরাও-বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নয়াগ্রাম থানার পুলিস ও নয়াগ্রামের যুগ্ম বিডিও রুদ্রেন্দু নন্দী আসেন। আলোচনার মাধ্যমে দু’ঘণ্টা পর ঘেরাও বিক্ষোভ ওঠে। জমিদাতাদের নামের তালিকা ব্লক অফিসে জমা দিতে বলা হয়।
নয়াগ্রামের যুগ্ম বিডিও বলেন, স্থানীয় একটি স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে কিছু কর্মীকে স্কুলের হস্টেলে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু, এখন জমিদাতারা এসে কাজ চাইছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্কুলের টিচার-ইনচার্জ সৌরভ পাল বলেন, জমিদাতাদের নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, বাম আমলে জমি দেওয়ার সময় কী কথা দিয়েছিল, তা আমরা জানি না। দিদি ক্ষমতায় আসার স্কুল তৈরির পাশাপাশি পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে স্বল্প পারিশ্রমিকে কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের লোক বলে কোনও ব্যাপার নেই। তালা লাগানো ঠিক হয়নি।