পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে এই পুজোর প্রচলন শুরু হলেও ঘট বিসর্জনের বয়স কিন্তু খুব বেশিদিনের নয়। প্রতিবারই ট্যাবলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়। কখনও বা জেলার কিছু বিষয়, কখনও রাজ্যের দেশ বা বিশ্বে সাড়া জাগানো বিষয়গুলিও বিভিন্ন বায়োরারি তুলে ধরেন। কয়েকশো ঢাকি, তাসা কিংবা ধামসা মাদলের ছন্দে নাচের সঙ্গে সুসজ্জিত পালকি করে ঘট কৃষ্ণনগরের রাজপথ ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় জলঙ্গি নদীর দিকে। এই সময় কিন্তু প্রতিমা বিসর্জন হয় না। কিন্তু এই ঘট বিসর্জন দেখতে এত মানুষের ভিড় হয় যে, তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। দশমীর দিনে পুজো শেষে বিষাদের সুর যেন মিলিয়ে যায় এই শোভাযাত্রা দেখে। শহর, শহর ছাড়িয়ে গ্রাম, জেলার বাইরে এমনকী কলকাতা থেকেও বহু মানুষ এই ঘট বিসর্জন দেখতে ছুটে আসেন।
শহরের পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, আমরা শোভাযাত্রার ট্যাবলোগুলির মাধ্যমে এমন কিছু বিষয়কে তুলে ধরতে চাই যা মানুষকে সচেতন করবে। শোভাযাত্রায় রায়বেশে, ছৌ বা নানা মুখোশের মানুষ ছোটদেরও আনন্দ দিয়ে থাকে। দশমী পুজো শেষ হওয়ার পরে শুরু হয়ে যায় ঘট বিসর্জনের পালা। পুলিস ও পুরসভা সূত্রে খবর, বছর মোট ১২৫ থেকে ১৩০টি পুজোকে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে সব পুজোই অবশ্য ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেয় না। ৩০ থেকে ৩২টি পুজোর ঘট বিসর্জনে বেরিয়েছিল। কলকাতা থেকে আসা অনিত দেববর্মন, রীতা দেব বর্মন বলেন, এমনটা কিন্তু কোথাও দেখা যায় না। অনেক জায়গায় এখন বড় করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। কিন্তু কৃষ্ণনগরের ঘট বিসর্জনের এই শোভাযাত্রা একেবারেই নিজস্ব। সত্যিই মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। ছোটরা তো আনন্দ পাবেই, কিন্তু বড়রাও সমানভাবে উপভোগ করছেন। বিভিন্ন বারোয়ারি শোভাযাত্রা করে কদমতলা ঘাটে যায়। আর সেই শোভাযাত্রা দেখতে সকাল থেকে দুপুর, বিকাল পর্যন্ত রাজবাড়ি থেকে জলঙ্গি নদীর কদমতলা ঘাট পর্যম্ত রাস্তার দু’পাশে ভিড় করে থাকে হাজার হাজার মানুষ। রাতে আবার সকলে প্রতিমা বিসর্জন দেখার অপেক্ষায় থাকে। রাতে বিভিন্ন বারোয়ারিগুলি সুউচ্চ প্রতিমা নিয়ে বের হয়। প্রতিমা থাকে বাঁশের সাঙের উপরে। সেই সাঙ কাঁধে করে বহন করে নিয়ে যান বেহারারা। সকলেই যান রাজবাড়ির দিকে। রাজবাড়ির সামনে থেকে প্রতিমা ঘুরিয়ে তা রাজপথ ধরে জলঙ্গির দিকে যায়। এটাই দীর্ঘদিনের প্রথা। কাঁঠালপোতা বারোয়ারি এদিন প্লাস্টিক বন্ধ, জল অপচয় করা বন্ধ করা নিয়ে শোভাযাত্রা করে। বেলেডাঙা বারোয়ারির থিম ছিল সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ। যুব গোষ্ঠীর থিম ছিল প্লাস্টিকমুক্ত শহর। চৌধুরীপাড়া বারোয়ারির থিম চন্দ্রযান ২। এ বছর ঘট বিসর্জন প্রতিবারের চেয়ে কিছু সময় দেরিতে রের হয়েছে।