রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এমনিতে অফলাইন ও অনলাইনে আবেদন করলেই সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন এলাকায় মেলা করে যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করাই। এবার স্বপনবাবুর অনুরোধে হস্তশিল্প মেলাতেও বিশেষ ক্যাম্প করা হচ্ছে যাতে, হস্তশিল্পীরা মেলাতে এসেই নিজেদের এই যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। তৃণমূল সরকারের আমলে কোনও বৃহৎ শিল্প এখনও বাংলায় না এলেও, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে তা বিভিন্ন সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার। মাটি, বাঁশ, থেকে বেত, বিভিন্ন কুটির শিল্পে যুক্ত শিল্পীদের মর্যাদা দিয়ে বাংলার নানা প্রান্তে হস্তশিল্প মেলার আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও রাজ্যের গ্রামীণ শিল্পীদের অন্যান্য সাধারণ শিল্পকর্মকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে কলকাতা বিমানবন্দরের অদূরে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার, শিলিগুড়ি, বোলপুর, দুর্গাপুরে স্থায়ী হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দাবি, প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার নথিভুক্ত শিল্পী রয়েছেন। অন্যদিকে হস্তশিল্পীর পাশাপাশি রাজ্যের শ্রমিকদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সচেষ্ট শ্রম দপ্তরও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনে তা ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। সেই মতো শ্রম দপ্তর পরিবহণ থেকে নির্মাণ সব শ্রেণীর অসংগঠিত শ্রমিকদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে থাকে। বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক মেলা করেও শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলতে থাকে। এছাড়াও স্টেট লেবার অরগাইজেশনগুলিও এই কাজ করতে থাকে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটি ১১ লক্ষ শ্রমিক এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। এবার হস্তশিল্পীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করছে দপ্তর। বছর বেশিরভাগ সময়েই মেলার জন্য এ প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়ান শিল্পীরা। বাকি সময় নিজেদের শিল্পকর্মের সামগ্রী প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত থাকেন। তাই আলাদা করে অনেক শিল্পীরই সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয় না। যার জেরে একটা বড় অংশের শিল্পী এই অন্তর্ভুক্তিকরণ থেকে বাদ থেকে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন সংশিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী স্বপনবাবু। তিনি আসানসোলে হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করতে এসে শ্রমমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যাতে মেলাতে শ্রম দপ্তরের ক্যাম্প হয়। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।