পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা উদয় বাগদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে গ্রামেরই আদিত্য বাগদির স্ত্রীর। সেই সন্দেহের বশে সোমবার উদয়কে ব্যাপক মারধর করে আদিত্য ও তার পরিবার। ছেলেকে বিনা কারণে মারধর করা হচ্ছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানান উদয়ের মা শঙ্করী বাগদি। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরে আদিত্য বাগদির আত্মীয় তথা গ্রামের তৃণমূল নেতা বেণুকা বাগদি দলবল নিয়ে এসে চড়াও হয় শঙ্করী বাগদির পরিবারের উপর। অভিযোগ, চালানো হয় গুলি। সেই গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শঙ্করী বাগদির। তারপরই গ্রাম্যবিবাদের জেরে খুনের ঘটনায় লেগে যায় রাজনৈতিক রং। বিজেপি দাবি করে, মৃতের পরিবার তাদের সমর্থক। অন্যদিকে তৃণমূল জানায়, সকলেই তাদের সমর্থক। মঙ্গলবার সকালে মৃত শঙ্করী বাগদির বাড়িতে যান নানুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। অন্যদিকে, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ঘরের এলাকা কার্যত ঘিরে রাখেন জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ সহ বোলপুরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এদিনই দুপুরে মৃতের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের। কিন্তু, প্রশাসনিক বাধার মুখে পড়ে তাঁরা সেই কর্মসূচি বাতিল করেন। তৃণমূল নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে মৃতার ছেলে উদয় বাগদি বলেন, তাঁর মাকে যারা খুন করেছে তারা তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত। এই ঘটনার বিচার চান তাঁরা। অন্যদিকে, তিনি জানান তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই তৃণমূলের সমর্থক।
নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ বলেন, মৃত শঙ্করী বাগদি আমাদের সমর্থক ছিলেন। তাঁকে যে বা যারা খুন করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে। পুলিস তদন্ত করছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, এদিন আমাদের গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনের প্রবল আপত্তির জন্য আমরা সেই কর্মসূচি বাতিল করেছি।